Qayamat Ke Din Ke Gawah

Book Name:Qayamat Ke Din Ke Gawah

          ঐ গুনাহগার জাহান্নামের উপরে স্থাপিত, অন্ধকারে নিমজ্জিত, তরবারির চেয়ে ধারলো এবং চুলের চেয়ে চিকন পুলসিরাতের উপর বুকের উপর ভর দিয়ে চলতে চলতে আপন রবকে আহবান করবে: یَا رَبِّ! بَلِّغْ بِیَ الْجَنَّۃَ وَ نَجِّنِی مِنَ النَّارِ অর্থাৎ হে আমার রব! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও, হে আমার রহমান ও রহীম, আল্লাহ পাক! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করো। আল্লাহ পাক ইরশাদ করবেন: হে বান্দা! আমি যদি তোমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিই এবং জান্নাত দান করি তুমি তোমার গুনাহ ও ভুল স্বীকার করবে? বান্দা বলবে: হ্যাঁ, হে আমার রব! তোমার সম্মান ও মহত্বের শপথ! যদি আমি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাই অবশ্যই নিজের গুনাহ স্বীকার করে নেবো। তখন বান্দা চিন্তা করবে, যদি আমার গুনাহ স্বীকার করে নিই তাহলে আমাকে আবার জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে না তো। (এ কথা চিন্তা করামাত্র) আল্লাহ পাক ইরশাদ করবেন: হে বান্দা! তোমার গুনাহ স্বীকার করে নাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিবো, তোমাকে জান্নাত দান করবো।

 

          বান্দা বলবে: না, মাওলা! তোমার সম্মান ও মহত্বের শপথ! আমি তো কখনো কোনো গুনাহ করিনি, কোনো ভুলও করিনি আল্লাহ পাক ইরশাদ করবেন: হে বান্দা! তোমার বিরুদ্ধে আমার নিকট সাক্ষী রয়েছে। বান্দা ঘাবড়ে গিয়ে এদিক সেদিক তাকাবে, কিন্তু কাউকে দেখতে পাবে না, আরয করবে: হে আল্লাহ পাক! সাক্ষী কোথায়? তখন আল্লাহ পাকের নির্দেশে তার চামড়া কথা বলবে আর তার সমস্ত সগীরা গুনাহের বর্ণনা দিবে। যখন সে বুঝতে পারবে যে, মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই, তখন নিজের গুনাহসমূহ স্বীকার করে আরয করবে: মাওলা! তোমার সম্মান ও মহত্বের শপথ! আমি কবীরা গুনাহও করেছি। আল্লাহ পাক ইরশাদ করবেন: আমি জানি। তুমি সব গুনাহ স্বীকার করো, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিবো, তোমাকে জান্নাতও দান করবো। তারপর বান্দা তার সমস্ত গুনাহ স্বীকার করে নিবে, তখন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: এ হচ্ছে সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতী। (মুজামুল কবীর, ৪ খণ্ড, ২৮৭ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৭৫৬৭)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!           صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! ঐ গুনাহগারকে আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিবেন, গুনাহ থাকা সত্ত্বেও জান্নাত প্রবেশ করাবেন। নিঃসন্দেহে তা মহান আল্লাহর রহমত। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন! ঘটনা কত কঠিন। আহ! কিয়ামতের দিন কোনো টালবাহানা চলবে না। আজ তো মুখ ব্যবহার করে অন্যের চোখে ধুলো দেয়া যায়, উল্টোপাল্টা ছলচাতুরি করে ধোঁকা দেয়া যায়, নিজেকেও মিথ্যা সান্ত্বনা দেয়া যায় কিন্তু আহ! কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহ পাকের সামনে উপস্থিত হবো, গুনাহে জর্জরিত থাকবো, কালো আমলনামা হাতে ধরিয়ে দেয়া হবে, সেই সময় অস্বীকার করার কোনো উপায় থাকবে না। আমাদের অঙ্গসমূহ, আমাদের হাত, পা, মুখ, চামড়া আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে, এমন অবস্থায় মুক্তি পাওয়া অতিশয় কঠিন হয়ে যাবে। নিঃসন্দেহে, ঈর্ষণীয় হবে সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ পাক আপন রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।