Book Name:Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)
ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে * যে গরীব ব্যাক্তি প্রতিদিন یَا مَلِکُ পাঠ করবে اِنْ شَآءَ الله অভাব থেকে মুক্তি পাবে * یَاسَلَامُ ১১১ বার পাঠ করে রোগীর উপর ফুঁক দিলে اِنْ شَآءَ الله আরোগ্য লাভ করবে * یَا مُہَیْمِنُ ২৯ বার প্রতিদিন পাঠকারী সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে اِنْ شَآءَ الله নিরাপদ থাকবে * یَاوَہَّابُ যে প্রতিদিন ৭ বার পাঠ করবে তার প্রত্যেক দোয়া কবুল হবে। এই ধরনের সংক্ষিপ্ত সংক্ষিপ্ত ৯৯ রুহানী চিকিৎসা মাদানী পাঞ্জেসূরায় লিখা রয়েছে। মাকতাবাতুল মদীনা থেকে মাদানী পাঞ্জেসূরা সংগ্রহ করুন, ঘরে রাখুন, সেটা পড়ুন এবং বরকত হাসিল করুন, আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন।
اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
৩টি আসমায়ে হুসনার ব্যাপারে সত্য থেকে সীমালংঘন কারী
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! পারা ৯, সূরা আরাফে আসমায়ে হুসনা সংক্রান্ত আয়াতে করীমা যা আমরা শুরুতে শুনেছি, ওই আয়াতে করীমায় আমাদের দ্বিতীয় হুকুম এটা দেওয়া হয়েছে।
وَ ذَرُوا الَّذِیْنَ یُلْحِدُوْنَ فِیْۤ اَسْمَآئِہٖ ؕ سَیُجْزَوْنَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ
(পারা ৯, সুরা আরাফ, আয়াত: ১৮০) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর ওই সব লোককে বর্জন করো, যারা তাঁর নাম সমূহের মধ্যে সত্যের সীমা থেকে বেরিয়ে যায়, এবং তারা শিঘ্রই তাদের কৃত কর্মের ফল পাবে।
আয়াতে করীমার এই অংশের একটা উদ্দেশ্য এটা যে, ওই সকল লোক যারা আল্লাহ পাকের নামের ব্যাপারে সত্যের সীমা থেকে বেরিয়ে যায় তাদের সাদৃশ্যতা করো না, তাদের থেকে দূরে থাকো, শীঘ্রই আল্লাহ পাক তাদেরকে এর জন্য শাস্তি দিবেন।
(তাফসীরে বায়যাবি, পারা ৯, সুরা আরাফ, আয়াত ১৮০, খন্ড ৪, পৃঃ ৩৩৬)
আল্লাহ পাকের নাম সমূহের ক্ষেত্রে ইলহাদ কী?
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আল্লাহ পাকের ভালো ভালো পবিত্র নাম সমূহের ব্যাপারে ইলহাদ অর্থাৎ সত্যের সীমা থেকে দূরে সরার অনেক দিক রয়েছে যেমন: আল্লাহ পাকের শানে এমন শব্দ ব্যবহার করা যা তাঁর সম্মান ও মর্যাদার উপযুক্ত নয় যেমন: কতিপয় অমুসলিম আল্লাহ পাককে আল্লাহর পানাহ! اَبٌ (অর্থাৎ পিতা) বলে, এটা আসমায়ে হুসনার মাঝে ইলহাদ * এমনিভাবে এমন শব্দাবলি যেগুলোর ভালো অর্থও রয়েছে এবং খারাপ অর্থও রয়েছে, আল্লাহ পাকের শানে এই ধরনের শব্দাবলি ব্যবহার করা নিষেধ, উদাহরণস্বরূপ আল্লাহ পাককে شَافِی (আরোগ্য দানকারী) বলা যাবে তবে طبیب বলা যাবে না طبیب পেশাদার ডাক্তারকে বলা হয়। অনেক লোক আল্লাহ মিঞা বলে থাকে, মিঞা শব্দটির অনেক অর্থ রয়েছে, এর একটি অর্থ হলো স্বামী, এই কারণে আল্লাহ পাককে আল্লাহ মিঞা বলা সঠিক নয়। (তাফসীরে নঈমী, পারা ৯, সুরা আরাফ, আয়াত ১৮০, খন্ড ৯ পৃঃ ৩৮৮) * তাফসীরে সীরাতুল জিনানে রয়েছে: আল্লাহ পাকের ওই সকল পবিত্র নাম যা আল্লাহ পাকের জন্যই নির্দিষ্ট, ওই মোবারক নাম সমূহ মাখলুখের জন্য ব্যবহার করাটাও আল্লাহ