Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)

Book Name:Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)

 

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! যদি আমরা আল্লাহ পাকের পবিত্র নাম اَلْحَکِیْمُ কে বুঝি এর অর্থ ও সারমর্মকে অন্তরে বসিয়ে নেই, এর ব্যাপারে গভীর চিন্তাভাবনা করতে থাকি اِنْ شَآءَ الله এর বরকতে আল্লাহ পাকের প্রতি আপত্তি করা থেকে বেঁচে যাবো। যখন মানসিকতা এরুপ হবে যে, আল্লাহ পাক যা করেন এর মধ্যে হাজারো হিকমত রয়েছে তাহলে স্পষ্ট যে, তখন মানুষ অভিযোগ কেনো করবে। এমনিভাবে যদি আমরা আল্লাহ পাকের পবিত্র নাম اَلْحَکِیْمُ কে বুঝে নিই, সেটাকে অন্তরে বসিয়ে নেই এবং এর উপর পূর্ণ আস্থা রেখে চিন্তা ভাবনা করতে থাকি তবে আমাদের জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। যেমন- * পবিত্র নাম اَلْحَکِیْمُ এর মারিফতের বরকতে ধৈর্যধারণ করাটা সহজ হবে, কোনো পেরেশানি আসুক, বিপদ আসুক, দুঃখ যন্ত্রণা, চিন্তা, অসুস্থতা, ঋণগ্রস্ততা, অভাব অনটন আসুক তখন মানসিকতা তৈরী করুন যে, আল্লাহ পাক হাকিম। অবশ্যই এই পেরেশানি, বিপদ আপদ, দুঃখ যন্ত্রণা ইত্যাদিতে কোনো হিকমত রয়েছে * গরীব কোন ধনী লোককে দেখলে হীনমন্যতার স্বীকার হবেন না বরং মানসিকতা তৈরী করুন যে, আল্লাহ পাক তাকে ধনী করেছেন আমাকে গরীব বানিয়েছেন নিশ্চয় এতে কোন হিকমত রয়েছে * ধনী গরীব লোককে দেখলে যেনো অহংকার না করে বরং বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহ পাক আমাকে ধন সম্পদ দান করেছেন তাকে গরীব রেখেছেন নিশ্চয় এতে কোন হিকমত রয়েছে * যিনি নিঃসন্তান তিনি পেরেশান হবেন না, আল্লাহ পাকের পবিত্র নাম اَلْحَکِیْمُ এর উপর বিশ্বাস রাখুন * যে পরিশ্রম করা সত্তেও পরীক্ষায় বিফল হয়ে গেলোন সে যেনো হতাশ না হয়, আল্লাহ পাকের পবিত্র নাম اَلْحَکِیْمُ এর উপর বিশ্বাস রাখুন। এমনিভাবে যদি আমরা এই পবিত্র নাম اَلْحَکِیْمُ কে বুঝে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি তবে এর বরকতে আমাদের জীবনের সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে।

          আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ঈমানের স্বাদ নসিব করুন, দ্বীনি জ্ঞানের নেয়ামত দান করুন। اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

আল্লাহ পাকের পবিত্র নাম اَلْغَنِیُّ

          আল্লাহ পাকের আসমায়ে হুসনার মধ্যে এক পবিত্র নাম: اَلْغَنِیُّএর অর্থ হলো অমুখাপেক্ষী। যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। (আল মাকসাদুল আসনা, পৃঃ ১২৮) আল্লাহ পাকের এই পবিত্র নাম اَلْغَنِیُّ এর মাধ্যমে জানা গেলো যে, আল্লাহ হলেন সেই পবিত্র সত্তা যে, সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী কিন্তু তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন।

 

আল্লাহ পাককে মুখাপেক্ষী বলা কুফরী

          আফসোস! ইলমে দ্বীন থেকে দূরত্ব, আমাদের এখানে কিছু মূর্খ এমন রয়েছে, যারা আল্লাহ পাকের প্রতি মুখাপেক্ষীতার সম্পর্ক করে দেয় যেমন- কোনো নেককার লোকের ইন্তেকাল হলে তখন বলে: নেককার লোকদেরও আল্লাহ পাকের প্রয়োজন হয় * ছোট শিশু মারা গেলে