Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)

Book Name:Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)

اللَّهُمَّ اِنِّی اَسْاَلُكَ بِجَمِيعِ اَسْمَائِكَ الْحُسْنٰى كُلِّهَا, مَا عَلِمْنَا مِنْهَا وَمَا لَمْ نَعْلَمْ, وَاَسْاَلُكَ بِاسْمِكَ الْعَظِيمِ الْأَعْظَمِ, الْكَبِيرِ الْأَكْبَرِ, وَالَّذِي مَنْ دَعَاكَ بِهِ اَجَبْتَهُ, وَمَنْ سَاَلَكَ بِهِ اَعْطَيْتَهُ

 

          অর্থাৎ: হে আল্লাহ পাক তোমার যতো আসমায়ে হুসনা আমি জানি আর যা আমি জানিনা ওই সকল আসমায়ে হুসানার উসীলায় দোয়া করছি এবং তোমার ঐ ইসমে আযম, ইসমে আকবর এর মাধ্যমে দোয়া করছি যে নামের মাধ্যমে দোয়া করলে তুমি কবুল করো এবং তোমার কাছে চাইলে তুমি দান করো।

          উম্মুল মুমিনীন সায়্যিদাহ আয়েশা সিদ্দিকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর এই সুন্দর দোয়া শুনে আল্লাহ পাকের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: اَصَبْتِہْ اَصَبْتِہْ অর্থাৎ: হে আয়েশা! তুমি সঠিক দোয়াই করেছো।

(আল আসমা ওয়াস সিফাত, পৃঃ ১৩)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

চতুর্থ আসমানের ফেরেস্তা সাহায্য করলো

          সাহাবীয়ে রাসূল হযরত আনাস বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর এক সাহাবী খুবই মুত্তাকী ও পরহেযগার ছিলেন, তিনি ব্যবসা করতেন এবং তাঁর ব্যবসায়িক মাল বেচাকেনার জন্য এক দেশ থেকে অন্য দেশ, এক শহর থেকে অন্য শহরে নিয়ে যেতেন, একবার তিনি ব্যবসায়িক মাল নিয়ে সফরে রওনা হলেন, যখন বনে পৌঁছলেন তখন হঠাৎ লৌহ বর্ম পরিহিত এবং হাতিয়ার (তলোওয়ার ইত্যাদি) নিয়ে এক ডাকাত সামনে এলো আর সে তাঁকে পথ রুদ্ধ করে বললো: তোমার সকল সম্পদ আমাকে দিয়ে দাও এবং মৃত্যুবরণ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। এটা শুনে ঐ সাহাবী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: তোমার সম্পদ প্রয়োজন, আমার সকল সম্পদ নিয়ে নাও আর আমাকে যেতে দাও, আমাকে হত্যা করে তোমার কি লাভ হবে? ডাকাত বললো: আমিতো তোমার সম্পদ নেবোই কিন্তু তোমাকেও অবশ্যই হত্যা করবো। এতটুকু বলার পর যখন ওই ডাকাত হামলা করতে সামনে অগ্রসর হলো তখন সাহাবীয়ে রাসূল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: যদি তুমি আমাকে হত্যা করার ইচ্ছা করেই থাকো তবে আমাকে একটু সময় দাও যাতে আমি আমার রব্বে করীমের দরবারে সিজদা করতে পারি। ডাকাত বললো, যা করার তাড়াতাড়ি করো, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করবো। এবার সাহাবীয়ে রাসূল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অযু করলেন চার রাকাত নামায পড়লেন এরপর সিজদাবনত অবস্থায় আল্লাহ পাকের দরবারে এইভাবে দোয়া করলেন:

یَا وَدُوْدُ! یَا ذَاالْعَرْشِ الْمَجِیْد! یَا فَعَّالُ لِّمَا یُرِیْدُ! اَسْئَلُکَ بِعِزِّکَ الَّذِیْ لَا یُرَامُ
وَمُلْکِ الَّذِیْ لَایُضَامُ ، بِنُوْرِکَ الَّذِیْ مَلَأَ اَرْکَانَ عَرْشِکَ اَنْ تَکْفِیَنِیْ شَرَّ ھٰذَا اللِّصِّ،
 یَا مُغِیْثُ اَغِثْنِیْ! یَا مُغِیْثُ اَغِثْنِیْ! یَا مُغِیْثُ اَغِثْنِی!