Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)

Book Name:Asma ul Husna (ALLAH Pak Ke Pyare Naam)

আল্লাহ পাককে আসমায়ে হুসনা দ্বারা ডাকো!!!

          আল্লাহ পাককে তাঁর মধুর মধুর, সুন্দর সুন্দর আসমায়ে হুসনা দ্বারা ডাকুন * যখনি দোয়া করবেন তখন আসমায়ে হুসনা দ্বারা আল্লাহ পাককে ডাকবেন * ইয়া আল্লাহ বলুন * ইয়া রাহমান বলুন * ইয়া রহীম! ইয়া করীম! ইয়া গাফফার! ইয়া সাত্তার বলুন * এমনিভাবে আল্লাহ পাকের যিকির করার সময় আসমায়ে হুসনা দ্বারাই আল্লাহ পাকের যিকির করুন * কথা বলার সময় আল্লাহ পাকের আলোচনা হলে তখনো আল্লাহ পাকের আসমায়ে হুসনার মাধ্যমেই আল্লাহ পাকের আলোচনা করুন, আমাদের প্রিয় আল্লাহ পাক রহমান, রহীম, জাওয়াদ, করীম, হালীম, গাফুর, মাজীদ, সাত্তার, রাজ্জাক। এসব হলো আল্লাহ পাকের আসমায়ে হুসনা, সুতরাং পরস্পর যখন কথাবার্তা হয় তখনো পূর্ণ আদব সহকারে আল্লাহ পাকের যিকির করুন, যেমন এভাবে বলুন আল্লাহ রাহমানুর রহীম বলেছেন * আল্লাহ পাক তাওওয়াব অনেক তাওবা কবুল করেন। মোটকথা; আল্লাহ পাককে যখনি ডাকা হয়, আল্লাহ পাকের যিকির করা হয় তখন তাঁকে আসমায়ে হুসনা দ্বারা ডাকুন এবং যিকির করুন।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

আসমায়ে হুসনার বরকতে দোয়া কবুল হয়

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! اَلْحَمْدُ لِلّٰه আল্লাহ পাকের আসমায়ে হুসনা দ্বারা যে দোয়াই করা হয় তা কবুল হয়। হাদীসে পাকে রয়েছে: আল্লাহ পাকের শেষ নবী রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আল্লাহ পাকের ৯৯ টি নাম রয়েছে, যে ব্যাক্তি সেগুলোর মাধ্যমে দোয়া করবে আল্লাহ পাক তার দোয়া কবুল করবেন। (জামে সগীর, পৃঃ ১৪৩, হাদিসঃ ২৩৭০)

 

সায়্যিদাহ আয়েশা সিদ্দিকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا

আসমায়ে হুসনার মাধ্যমে দোয়া করেছেন

          উম্মুল মুমিনীন বিবি আয়েশা সিদ্দিকা তায়্যিবাহ তাহেরা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: আমি রিসালাতের দরবারে আরজ করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আমাকে আল্লাহ পাকের সেই বরকতময় নাম শিখিয়ে দিন যেই নামের মাধ্যমে দোয়া করলে আল্লাহ পাক কবুল করেন। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: (আয়েশা) দাড়িয়ে যাও, অযু করো, দ্ইু রাকাত নামায পড়ো এরপর দোয়া করো, আমি শুনবো (যে কিভাবে দোয়া করো) সায়্যিদা আয়েশা সিদ্দিকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: আমি এমনটাই করলাম (অর্থাৎ অযু করলাম এবং দুই রাকাত নামায আদায় করলাম) এরপর যখন দোয়া করার জন্য বসলাম তখন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করলেন: اَللّٰہُمَّ وَفِّقْہَا অর্থাৎ হে আল্লাহ! আয়েশাকে সঠিক দোয়া করার তৌফিক দান করো। উম্মুল মুমিনীন বিবি আয়েশা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: আমি এভাবে দোয়া করলাম: