$header_html

Book Name:Imam Jafar Sadiq Ki Betay Ko Nasihat

            প্রসিদ্ধ মুফাসসীর, মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীসে পাকের আলোকে বলেন: ভালো আদব দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সন্তানকে দ্বীনদার, মুত্তাকী, পরহেযগার বানানো। সন্তানের জন্য এর চেয়ে উত্তম উপহার কি হতে পারে যে, এই জিনিস দ্বীন ও দুনিয়ায় কাজে আসে। পিতামাতার উচিৎ সন্তানকে শুধু সম্পদশালী বানিয়ে দুনিয়া থেকে না যাওয়া, তাদেরকে দ্বীনদার বানিয়ে যান, যা স্বয়ং তাদেরও কবরে কাজে আসবে, জীবিত সন্তানের নেকীর সাওয়াব মৃতরা কবরে পেয়ে থাকে।

(মিরাতুল মানাজিহ, ৬/৫৬৫)

 

পিতামাতার সাথে সন্তানদের সম্পর্ক

            হে আশিকানে আউলিয়া! কুরআন ও হাদীসে পিতামাতার শান ও মহত্ব বারবার বর্ণনা করা হয়েছে, অতএব সন্তানের উপরও আবশ্যক যে, সে যেনো পিতামাতার সাথে সদাচর করবেতাঁদের আদব ও সম্মান করবে, তাঁদের খেদমত করাকে নিজের জন্য সৌভাগ্য মনে করবে, বিশেষ করে তাঁদের বার্ধক্যের সময় বেশি খেদমতের প্রয়োজন হয়ে থাকেনিশ্চয় পিতামাতার বার্ধক্য মানুষকে পরীক্ষায় পতিত করে দেয়, যার কারণে সাধারত সন্তান বিরক্ত হয়ে যায় কিন্তু মনে রাখবেন! এমন অবস্থায়ও পিতামাতার খেদমত করা আবশ্যক। শিশুকালে পিতামাতাও তো সন্তানের ময়লা সহ্য করেছে। বার্ধক্যে এবং অসুস্থ অবস্থায় পিতামাতার মধ্যে যতই খিখিটে স্বভাব এসে যাক না কেনো, বিনা কারণে ঝগড়া করুক না কেনো, যতই ঝগড়া করুক এবং বিরক্ত করুক, ধৈর্য, ধৈর্য এবং ধৈর্যই ধার করবে আর তাঁদের সম্মান করা জরুরী। তাঁদের সাথে অসদাচর করা, তাঁদেরকে ধমকানো ইত্যাদি তো দূরের কথা তাঁদের সামনে উফপর্যন্ত করবে না, অন্যথায় বাজি হেরে যেতে পারে এবং উভয় জগতের ধ্বংস ভাগ্যে জুটতে পারে, পিতামাতার মনে কষ্ট প্রদানকারী এই দুনিয়ায়ও অপদস্ত হয়ে থাকে এবং আখিরাতেও দোযখের আগুনের অধিকারী হবেআল্লাহ পাক ১৫তম পারা সূরা বনী ইসরাইলের ২৩ নাম্বার আয়াতে পিতামাতার আদব শিখাতে গিয়ে ইরশাদ করেন:

فَلَا تَقُلْ لَّہُمَاۤ  اُفٍّ  وَّ لَا  تَنْہَرْھُمَا

(পারা ১৫, বনী ইসরাঈল, আয়াত ২৩)                      কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: তবে তাঁদেরকে বলো না এবং তাঁদেরকে তিরষ্কার করো না।

 

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ভাবুন তো, যখন পিতামাতার সামনে উফ পর্যন্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে, তখন তাদের সামনে মুখ চালানো, চিৎকার চেচামেচি করা কতটা বঞ্চনার বিষয়। এখনই যেই আয়াত আমরা শুনলাম, এর আলো হযরত আল্লামা মুফতী নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: (পিতামাতার সামানে) এমন কোন কথা মুখে বের করবে না, যাতে এটা মনে হয় যে, তাঁদের পক্ষ থেকে তুমি স্বভাবত কিছুটা বোঝা মনে করছো, না তাঁদেরকে তিরষ্কার করবে, না উচ্চ আওয়াজে বলবে বরং চরম ভদ্রভাবে পিতামাতার সহিত এভাবে কথা বলবে, যেমন গোলা ও খাদেম (তার) মুনিবের সাথে বলে তাদের সাথে নম্রতা ও বিনয়  সহকারে আচরণ করো এবং তাদের সাথে ক্লান্তির সময় মমতা ও ভালোবাসা সূচক ব্যবহার করবে। তিনি আরো বলেন: পৃথিবীতে উত্তম আচরণ ও সেবার মধ্যে যতই অতিরঞ্জিত করা হোক না কেন; কিন্তু পিতামাতার অনুগ্রহের হক আদায় করা যাবে না। এ কারণে বান্দার



$footer_html