Book Name:Imam Jafar Sadiq Ki Betay Ko Nasihat
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই উপদেশ থেকে আমরা এই মাদানী ফুল পাই যে, অপরের দোষের উপর দৃষ্টি রাখার পরিবর্তে নিজের দোষ অনুসন্ধান করুন, নিজের সংশোধন করুন এবং সর্বদা অহেতুক এবং অনর্থক কথাবার্তা থেকে বিরত থাকুন।
হযরত ইমাম জাফর সাদিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ চতুর্থ উপদেশ এটাই দেন: হে আমার সন্তান! সত্য কথাই বলবে, তা তোমার পক্ষে হোক বা বিপক্ষে, কেননা তোমাকে আপন বন্ধুদের পক্ষ থেকেই নিন্দার সম্মুখীন হতে হবে।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই উপদেশ থেকে আমাদের এই মাদানী ফুল অর্জন হয় যে, সত্যের মৃত্যু নেই অতএব আমাদের সর্বাবস্থায় শরীয়তের চাহিদা অনুযায়ী সত্য কথাই বলা উচিৎ।
চতুর্থ উপদেশের পর পঞ্চম উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন: হে আমার সন্তান! কুরআনে পাকের তিলাওয়াত করতে থাকা, সালামকে প্রসার করা, নেকীর আদেশ দেয়া এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা, যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার সাথে সম্পর্ক জোড়া, যে তোমার সাথে কথা বলে না তুমি তার সাথে কথা বলাতে অগ্রগামী হও, যে তোমার নিকট চায় তাকে দাও, চুগলখোরী থেকে বিরত থাকো কেননা এটি অন্তরে বিদ্ধেষ সৃষ্টি করে। মানুষের দোষ অন্বেষণে থেকো না, কেননা এটি নিজেকে (নিন্দা ও অপবাদের) লক্ষ্য বানানোর পরিপূরক।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই উপদেশ থেকে অর্জিত হওয়া সকল মাদানী ফুল জীবনকে সুন্দর ও উন্নত করে তুলতে পারে কিন্তু মনে রাখবেন! আমরা আমাদের জীবনকে তখনই সুন্দর করতে পারবো, যখন আমরা এই সুবাশিত মাদানী ফুল, সোনালী রীতিকে মন ও প্রাণ দিয়ে গ্রহণ করে আমলও করার চেষ্টা করবো।
ইমাম জাফর সাদিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র ষষ্ট উপদেশ যা তিনি তাঁর ছেলেকে দিয়েছেন তা ছিলো: হে আমার সন্তান! যদি সাক্ষাতের ইচ্ছা হয় তবে নেককার লোকদের সাথে সাক্ষাত করো, অবাধ্যদের সাথে সাক্ষাত করবে না, কেননা অবাধ্যরা ঐ উপত্যকার ন্যায়, যাতে পানি প্রবাহিত হয় না, এমন বৃক্ষের ন্যায় যা সবুজ শ্যামল হয় না, এমন ভূমির ন্যায় যাতে ঘাস জন্মায় না। (হিলইয়াতুল আউলিয়া, ৩/২২৮, নাম্বার ৩৭৯৩)
ইমাম মূসা কাযেম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র অনন্য প্রশিক্ষণ
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত ইমাম জাফর সাদিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র নিজের সন্তানকে দেয়া উপদেশগুলোর সারমর্ম হলো যে, সম্পদশালী হলো সে, যে আল্লাহর বন্টনে সন্তুষ্ট থাকে। অপরের দোষ গোপন করো। ওলামাদের সাহচর্যে বসা উচিৎ। মানুষকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। সর্বদা সত্য কথা বলা উচিৎ। কুরআনে পাকের তিলাওয়াত করা, সালামকে প্রসার করা, নেকীর আদেশ এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা, সম্পর্ক ছিন্নকারীর সাথে সম্পর্ক রাখা, যে চায় তাকে দান করা এবং