Book Name:Husn e Zan Ki Barkaten
সুধারণা পোষণ করাতে অনেক উপকার রয়েছে-
(১) সুধারণার বরকতে বান্দা খারাপ ধারণা থেকে বেঁচে বিপুল সাওয়াব অর্জন করে।
(২) সুধারণার পোষণ করার বরকতে মুসলমান ভাইয়ের সম্মান সুরক্ষিত থাকে।
(৩) যে তার মুসলমান ভাইয়ের প্রতি সুধারণা রাখে, তার অন্তরে প্রশান্তি অর্জিত হয়। আর যে খারাপ ধারণার কুঅভ্যাসে লিপ্ত হয়, তার অন্তরে ত্রাসের বসতি স্থাপিত হয়।
(৪) সবচেয়ে বড় কথা হলো সুধারণা পোষণ করার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ পাক ও তাঁর প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সন্তুষ্টি অর্জন করে।
কুধারণার অনেক ক্ষতি রয়েছে তার মধ্যে থেকে কিছু হলো--
(১) উপস্থিত ব্যক্তির সামনে যদি মনের কুধারণা প্রকাশ করা হয়, তবে তার অন্তরে কষ্ট পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এবং শরীয়তের অনুমতি ছাড়া মুসলমানের মনে কষ্ট দেয়া হারাম।
(২) যদি তার অনুপস্থিতিতে অন্য করো কাছে প্রকাশ করা হয়, তবে গীবত হয়ে যাবে, আর মুসলমানের গীবত করা হারাম।
(৩) কুধারণার মাধ্যমে দোষ অন্বেষণ সৃষ্টি হয়। কেননা, অন্তর কেবল ধারণা করে বসে থাকে না, বরং সত্যতা অন্বেষণ করে। যার কারণে মানুষ দোষ অন্বেষণে লিপ্ত হয়, আর দোষ অন্বেষণ অর্থাৎ মুসলমান ভাইয়ের গুনাহের পিছনে লেগে থাকা নিষেধ।
(৪) কুধারণার মাধ্যমে রাগ, হিংসা, ঘৃণা, শত্রুতার বাতেনী রোগ সৃষ্টি হয়।
(ফতহুল বারী, ১০তম খণ্ড, ৪১০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬০৬৬)
(৫) কথায় কথায় কুধারণা পোষণকারীদের থেকে মানুষ দূরে সরে যায়, আর এই ধরণের লোক মানুষের দৃষ্টিতে অপদস্থ হয়।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد