Qiyamat Ke Din Ke Gawah

Book Name:Qiyamat Ke Din Ke Gawah

    এটা শুনে খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান বেহুঁশ হয়ে গেলেন যখন হুঁশ এলো তখন বললেন আল্লাহ পাকে শপথ! যে ব্যক্তি এই আয়াত নিয়ে চিন্তা করার পরেও নিজের রবের নাফরমানি করে, সে

সরল পথ থেকে বহু দূরে আছে 

    হে আশিকানে রাসূল! আসলেই বিষয়টি এমনই আমরা মুসলমান, আমাদের আক্বিদা হলো কিয়ামত সংঘটিত হবে আমরা জানি মানি যে কিয়ামতের দিন আমাদের এক একটি আমলের হিসাব দিতে হবে আমরা এও জানি যে কিয়ামতের দিন আমাদের কাছে কোনো অযুহাত থাকবে না তবুও আমরা গুনাহ করে নাফরমানিতে অটল থাকি, তাওবার দিকে অগ্রসর হই না তাহলে বলুন! আমাদের থেকে বড় নির্বোধ কে? হায়! যদি কিয়ামতের দিন হিসাব নিকাশের করুণ পরিস্থিতি যদি বুঝতে পারতাম আহ! আল্লাহ পাকে দরবারে উপস্থিত হওয়ার ভয় যদি নসিব হয়ে যেতো

আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হওয়ার ভয়

    হযরত শায়খ সাদী শিরাযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: মসজিদুল হারামে কিছু লোক কাবা শরীফের কাছে ইবাদতে মগ্ন ছিলো হঠাৎ তারা একজন ব্যক্তিকে দেখলো যে দেওয়ালের সাথে জড়িয়ে অঝোরে কান্না করছে এবং তাঁর মুখে এই দোয়া জারি আছে; হে আল্লাহ পাক! যদি আমার আমল তোমার দরবারের উপযুক্ত না হয় তাহলে কাল কিয়ামতের দিন আমাকে অন্ধ করে তুলো

    এই অদ্ভুত দোয়া শুনে লোকেরা খুবই আশ্চর্য হলো, তারা প্রার্থনাকারীকে জিজ্ঞাসা করলো: হে শায়খ! আমরা তো কিয়ামতের দিন সুস্থ শরীর চাই আর আপনি অন্ধ করে তোলার জন্য দোয়া করছেন, এর রহস্য কী? ব্যক্তি কান্না করে করে বললেন: আমার চাওয়া হলো যদি আমার আমলসমূহ আল্লাহ পাকে দরবারের উপযুক্ত না হয়, তবে আমি কিয়ামতের দিন এই জন্য অন্ধ করে তুলতে বললাম যে, আমাকে যেনো মানুষের সামনে লজ্জা পেতে না হয় তারা সবাই তার বুযুর্গী উত্তর শুনে খুবই প্রভাবিত হলো কিন্তু তারা ব্যক্তিকে চিনতো না, তাই জিজ্ঞাসা করলো: হে শায়খ! আপনি কে? তিনি উত্তর দিলেন: আমি হলাম আব্দুল কাদের জিলানী (খওফে খোদা, ১২০ পৃষ্ঠা)