Book Name:Qiyamat Ke Din Ke Gawah
কবীরা গুনাহও করেছি। আল্লাহ পাক ইরশাদ করবে: আমি জানি। তুমি সব গুনাহ স্বীকার করো, আমি তোমাকে মাফ করে দেবো, তোমাকে জান্নাতও দান করবো। তারপর বান্দা তার সমস্ত গুনাহ স্বীকার করে নেবে, তখন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: এ হচ্ছে সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতী।
(মুজামুল কবীর, ৪ খণ্ড, ২৮৭ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৭৫৬৭)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! ঐ গুনাহগারকে আল্লাহ পাক মাফ করে দেবেন, গুনাহ থাকা সত্ত্বেও জান্নাত প্রবেশ করাবেন। নিঃসন্দেহে তা মহান আল্লাহর রহমত। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন! ঘটনা কত কঠিন। আহ! কিয়ামতের দিন কোনো টাল-বাহানা চলবে না। আজ মুখ ব্যবহার করে অন্যের চোখে ধুলো দেওয়া যায়, উল্টোপাল্টা ছলচাতুরি করে ধোঁকা দেওয়া যায়, নিজেকেও মিথ্যা সান্ত্বনা দেওয়া যায় কিন্তু হায়! কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহ পাকের সামনে উপস্থিত হবো, গুনাহে লেপ্টে থাকবো, কালো আমল নামা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে, সেই সময় অস্বীকার করার কোনো উপায় থাকবে না। আমাদের অঙ্গসমূহ- আমাদের হাত, পা, মুখ, চামড়া আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে, এমন অবস্থায় নাজাত পাওয়া সীমাহীন কঠিন হয়ে যাবে। নিঃসন্দেহে, ঈর্ষণীয় হবে সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ পাক আপন রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।
নাজাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি ঈর্ষাযোগ্য
ইমাম হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আশ্চার্য্যের বিষয় এ নয় যে ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে ধ্বংস হলো? বরং আশ্চার্য্যের বিষয় হলো এই যে নাজাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে নাজাত পেলো? (আদাবে হাসান বসরী লি ইবনে জওযী, ২৪ পৃষ্ঠা) অর্থাৎ কিয়ামতের দিন হিসাব নিকাশের ব্যাপারটি এমন কঠিন ও কষ্টকর তাতে অকৃতকার্য হয়ে জাহান্নামের হকদার হয়ে যাওয়া অনেক সহজ বিষয় কিন্তু নাজাত পেয়ে জান্নাতের হকদার হওয়া অত্যন্ত কঠিন।তাই এতে আশ্চার্য্য হওয়ার কিছুই নেই যে- জাহান্নামী ব্যক্তি কীভাবে জাহান্নামে গেলো, বরং আশ্চার্য্যের বিষয় হলো যে হিসাব নিকাশ থেকে নাজাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে নাজাত পেলো?