Qiyamat Ke Din Ke Gawah

Book Name:Qiyamat Ke Din Ke Gawah

    হযরত আল্লামা মাহমুদ আলুসী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় লেখেন- কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক আমাদের অঙ্গসমূহকে বাকশক্তি দান করবেন তারপর প্রত্যেক অঙ্গ বান্দার ব্যাপারে সাক্ষ্য দেবে যে তারা অঙ্গগুলো দিয়ে কী কাজ করিয়েছে

(তাফসীরে রুহুল মাআনী, পারা ১৮, সূরা নূর, আয়াত ২৪ এর অধীন, অধ্যায়- ১৮, খণ্ড- , পৃষ্ঠা-৪৪২)

 

    হায়! আফসোস! একটু চিন্তা করুন! কীরূপ ভীতিকর অবস্থা হবে যে কিয়ামতের দিন আমাদের অঙ্গসমূহ আমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে পা বলবে; মাওলা! এই ব্যক্তি অমুক দিন, অমুক সময়, অমুক গুনাহের স্থানে গিয়েছিলো হাত বলবে; মাওলা, এই ব্যক্তি আমাকে হারাম উপর্জন করা, হারাম আহার করা হারাম কাজে ব্যবহার করেছে চোখ বলবে; মাওলা, এই ব্যক্তি আমার মাধ্যমে কুদৃষ্টি দিতো, সিনেমা নাটক দেখতো কান সাক্ষ্য দেবে; মাওলা, আমার মাধ্যমে গান-বাজনা শুনতো, অশ্লীল কথা শুনে মজা পেতো মুখ বলবে; মাওলা, আমার মাধ্যমে গীবত করতো, মিথ্যা বলতো, চোগলখুরী করতো, লানত দিতো হায়! সময় যখন আমাদের শরীরের অঙ্গগুলো আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে, তখন আমরা নিজেকে কীভাবে রক্ষা করবো? নিজের সাফাই দেওয়ার জন্য আমরা কোন অজুহাত পেশ করবো?

    হায়! হে আশিকানে রাসূল! এই যমীন, এই দিন রাত, আমল লেখক ফেরেশতা, এমনকি আমাদের অঙ্গসমূহ, আমাদের চোখ, মুখ, কান, হাত, পা- সব কিছুই আমাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেবে তো বলুন নাজাতের কী উপায় হবে? কোনো অজুহাত কি আমাদের কাছে অবশিষ্ট থাকবে? না থাকবে না কিন্তু আফসোস! আমরা বুঝতে চাইছি না, ভয় করছি না, আখিরাতকে ভুলে যাচ্ছি দুনিয়ার নশ্বর জীবন- এখানকার ক্ষণিক আরাম-আয়েশের জন্য গর্ব করছি হায়! মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন আমরা তারপরও গুনাহ থেকে বিরত হচ্ছি না

বড় মুর্খ কে.....?

    একবার খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান হযরত মনসুর বিন আম্মার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে বললেন- হে মনসুর! একটি প্রশ্ন যার জন্য আমি আপনাকে এক বছর সুযোগ দিচ্ছি,