না। কিন্তু কাল কিয়ামতের দিন এই যমীনও আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে, আল্লাহ পাক কুরআনে পাকে ইরশাদ করেন:

یَوۡمَئِذٍ تُحَدِّثُ اَخۡبَارَہَا ۙ(۴)

(পারা ৩০, সূরা যিলযাল, আয়াত ৪)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: ঐদিন সেটা তার সংবাদসমূহ বলে দেবে।

    হযরত আবু হুরায়রা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত: আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন:

یَوۡمَئِذٍ تُحَدِّثُ اَخۡبَارَہَا ۙ(۴)

(পারা ৩০, সূরা যিলযাল, আয়াত ৪)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: ঐদিন সেটা তার সংবাদসমূহ বলে দেবে।

    তারপর ইরশাদ করেন: তোমরা কি জানো এই যমীনের সংবাদসমূহ কি? সাহাবাগণ আরজ করেন: আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ভালো জানেন। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যমীনের সংবাদসমূহ এই যে যমীন প্রত্যেক নর নারীর ঐ আমলের সাক্ষ্য দেবে যা তারা তার পৃষ্ঠে করেছে। সে বলবে: এই ব্যক্তি অমুক দিন এই কর্ম করেছে আর ঐ দিন অমুক ব্যক্তি এই কর্ম করেছে, এগুলোই তার সংবাদ। (তিরমিযী, ৫৭৭, হাদীস: ২৪২৯)

রাস্তাকে আল্লাহর যিকিরের সাক্ষী বানাতেন

    একজন বুযুর্গ ছিলেন, যার নাম হযরত আবুল মালীহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ। তাঁর অভ্যাস ছিলো যে কোথাও যাওয়ার সময় রাস্তায় আল্লাহর যিকির করতেন। যদি কখনো যিকির করতে ভুলে যেতেন ফিরে এসে আবার ঐ রাস্তায় আল্লাহর যিকির করতেন এবং বলতেন: আমি চাই যে আমি যমীনের যে টুকরোগুলো দিয়ে অতিক্রম করবো তা কিয়ামতের দিন আমার যিকিরের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে। (তামবীহুল মুগতাররাইন, পৃষ্ঠা- ৮৮)

    سُبْحٰنَ الله! আমাদের বুযুর্গগণের কর্মপদ্ধতি কেমন ছিলো! তারা নেকীর কেমন লোভী ছিলেন...! হায়! আর অন্য দিকে আমরা। আমরা উদাসীনতায় নিমজ্জিত। আফসোস! এমন নির্বোধও রয়েছে যারা সফরের সময় গুনাহে ব্যস্ত থাকে- কার, বাস, ট্রেন, জাহাজ