করেন: مَنْ تَمَسَّكَ بِالسُّنَّةِ دَخَلَ الْجَنَّةَ অর্থাৎ যে আমার সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

(জামে বয়ান ইলম, খন্ড:১ পৃষ্ঠা: ২০১ হাদিস: ২২০)

    আল্লাহ পাক আমাদের সুন্নাতের অনুসারী বানিয়ে দিক, আমাদের নিজেদেরও সুন্নাতের অনুসরণ করতে হবে এবং এর পাশাপাশি অপরকেও সেটার দাওয়াত দিতে হবে। এখন যে নির্বোধ লোকেরা আল্লাহর পানাহ্! নেকির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, সুন্নাতের অনুসারীদের দিকে বাঁকা চোখে তাকায়, তাদের প্রতি উপহাসের বিষাক্ত তীর নিক্ষেপ করে, তাদের ভয় করা উচিত। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সুন্নাত অনুসরণ করার তৌফিক দান করুন।

(২-৯) নাপাক ইয়াজিদের সাতটি বদাভ্যাস:

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিশ্চয়ই ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ইয়াজিদের মন্দ চরিত্র সম্পর্কে ভালো করেই অবগত ছিলেন, এখন আসুন! দেখি ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ নিজে কিভাবে ইয়াজিদের খারাপ চরিত্র তুলে ধরেন? সদরুল আফাযিল, মুফতি নঈমুদ্দিন মুরাদাবাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন: যখন ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সামনে অভিশপ্ত ইয়াজিদের বাইয়াত হওয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলো তখন তিনি বলেছিলেন: لِاَنّہٗ کَانَ فَاسِقًا، مُدْمِنَ الْخَمَرِ ظَالِماً یزید فاسِق অর্থাৎ কারণ সে ছিল একজন সীমালঙ্ঘনকারী (অর্থাৎ জনসম্মুখে কবিরা গুনাহ সম্পাদনকারী) মদ্যপায়ী এবং অত্যাচারী (আমি কীভাবে এমন ব্যক্তির হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবো)। (সাওয়ানাহে কারবালা পৃষ্ঠা: ১১৪)

ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর খুতবা

    ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কারবালার ময়দানে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে ইয়াজিদ বাহিনীর সামনে খুতবা দিতে গিয়ে ইরশাদ করলেন, হে লোকসকল! রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বলেছেন: নিশ্চয় যে ব্যক্তি এমন শাসক দেখবে যে নির্যাতন করে, আল্লাহ পাকের হারাম কৃত বস্ত সমূহকে হালাল বলে আখ্যায়িত করে, মহান আল্লাহ পাকের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, সুন্নাতের বিরোধিতা করে, মানুষের মাঝে গুনাহ এবং নির্যাতন, নিপীড়ন ও সীমালংঘনের প্রবর্তন ঘটায়, আর দর্শক যদি এমন অত্যাচারীকে তার হাত বা জিহ্বা দিয়ে