Book Name:Hum Nay Karbala Se Kia Seekha
কতজন লোক রোযা রাখে? পিতা-মাতার আনুগত্য করা, ভাই-বোনের হক আদায় করা, স্ত্রীর হক পূরণ করা, অন্য মুসলমানদের সম্মান করা, ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করা এসবই হলো পরম করুণাময়ের আনুগত্য পক্ষান্তরে এর বিপরীত করা তা শয়তানের অনুসরণ। মিথ্যা বলা, পরনিন্দা করা, চুগলি করা, ওয়াদা ভঙ্গ করা, গালিগালাজ করা এসব হলো গুনাহ এবং শয়তানের অনুসরণ। আমাদের মধ্যে কয়জন এমন রয়েছে যারা এগুলো থেকে বিরত থাকে?
এগুলো ইয়াজিদের বদ অভ্যাস, এগুলো হলো সেই বিষয় যার উপর ভিত্তি করে ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ইয়াজিদের হাতে বাইয়াত হওয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং কারবালার ময়দানে চিরন্তন ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।
হে আশিকানে রাসূল! কারবালা থেকে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা শিখতে পেরেছি তা হল, হতভাগ্য ইয়াজিদ কারবালার ময়দানে যে সমস্ত নৃশংসতা করেছিল এবং করিয়েছিল এসব কিছু মূলত জগতের মোহ ও লালসার ফল। শায়খে তরিক্বত, আমিরে আহলে সুন্নাত, হযরত আল্লামা মাওলানা আবু বিলাল মুহাম্মদ ইলিয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ বলেন,নাপাক ইয়াজিদ ধনসম্পদ ও সম্মানের মোহে পড়েই কারবালার নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে। এই অত্যাচারী ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে তার কর্তৃত্বের জন্য হুমকি বোধ করেছিলো, অথচ ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর অস্থায়ী কর্তত্বের সাথে কোন সম্পর্কই নেই। তিনি তো পূর্বেও মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের মুকুট ছিলেন, আজও আছেন এবং চিরকাল থাকবেন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! মুহররমের ১০ তারিখে শহীদদের সর্দার হযরত ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ঈসালে সাওয়াবের আয়োজন করুন, ঘরে ঘরে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করুন এবং ১১ তারিখে হুসাইনি সায়্যিদ, হযরত গাউস আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর জন্য ও ঈসালে সাওয়াবের আয়োজন করুন। আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত আল্লামা মাওলানা মুহাম্মাদ ইলিয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ বলেন: ব্যবসায়ী তার দৈনিক