Book Name:Hum Nay Karbala Se Kia Seekha
থেকে এটা প্রমাণ করতে পারবে না যে, ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কারবালার ময়দানে শোকের তীব্রতার কারণে শরিয়ত বিরোধী কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হে আশিকানে রাসূল! এই সব কথা বলার উদ্দেশ্য হল, দেখুন! বর্তমান চিন্তাবিদরা সফলতা, অগ্রগতি ও বিপ্লবের পথ দেখিয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়ে থাকেন, এ সব কিছুই প্রায় ১ হাজার ৩৮২ বছর আগে ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বাস্তবে করে দেখিয়ে গিয়েছেন। এসব কিছু কারবালার ময়দানে রয়েছে।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
ইয়াজিদের অসচ্চরিত্র এবং তা থেকে শিক্ষা
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! একটু বিবেচনা করুন! ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কেন এত বড় কুরবানি দিলেন...? নিশ্চয়ই সিংহাসন ও ক্ষমতার সাথে তার কোনো সম্পর্কই ছিল না, তিনি তো জান্নাতের যুবকদের সর্দার, আল্লাহ পাকের দয়ায় যাকে জান্নাতে রাজত্ব ও নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি কিভাবে দুনিয়ার অস্থায়ী রাজত্বের প্রতি লোভী হতে পারেন? কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কেন ইয়াজিদের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন নি? তাঁর সাথে কি ইয়াজিদের কোন বিরোধ ছিল? না.. তাঁর সাথে ইয়াজিদের কোন বিরোধ ছিল না, তাঁর বিরোধ ছিল ইয়াজিদের কর্মকান্ডের সাথে। যদি দুর্ভাগা ইয়াজিদের কর্মকান্ড পরিশুদ্ধ হত , সে কুরআন ও সুন্নাতের অনুসারী হতো, তাহলে ইমাম হুসাইন কখনোই তার বাইয়াত গ্রহণ করাকে অস্বীকার করতেন না, কিন্তু এই দুর্ভাগার চরিত্র ভালো ছিল না, তার নৈতিকতা ভালো ছিল না, তার অভ্যাস ছিল মন্দ, সে ছিল সীমালঙ্ঘনকারী, সে ছিল পাপিষ্ঠ, সে ছিল ব্যভিচারী, সে ছিল মদ্যপায়ী, ইয়াজিদ কুরআন ও সুন্নাতের বিরোধিতা করতো , তাই ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করেননি এবং এমন চিরন্তন কুরবানি দিলেন।
এবার একটু ভাবুন তো! ইমাম হুসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যখন ইয়াজিদের মন্দ চরিত্রে সন্তুষ্ট হননি, আমরাই যদি সেই চরিত্রের অধিকারী হই, ইয়াজিদের যে মন্দ অভ্যাস ছিল,