Book Name:Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy
খলিলে মিল্লাত হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ খলিল খাঁন কাদেরী বরকতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এই রোযাগুলো ঈদের পর ধারাবাহিক ভাবে রাখলে তাতেও কোন ক্ষতি নেই আর উত্তম হলো এটি যে, পৃথক পৃথক করে রাখা যেমন প্রতি সাপ্তাহে দুইটি করে আর ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন একটি রোযা রেখে নিন আর পুরো মাসে রাখে তো আরও ভালো বলে বিবেচিত হয়ে থাকে, (সুন্নী বেহেশতী জেওর, পৃষ্ঠা: ৩৪৭) মোটকথা ঈদুল ফিতরের দিন বাদ দিয়ে পুরো মাসে যখনই চায় ছয় রোযা রাখতে পারবে। (ফয়যানে রমযান, ৩৭১ পৃষ্ঠা)
কুরআন বুঝার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন!
পারা ২, সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫ তে ইরশাদ হচ্ছে:
شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ
(পারা: ২, সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: রমযানের মাস, যাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, মানুষের জন্য হিদায়ত ও পথ নির্দেশ এবং মীমাংসার সুস্পষ্ট বাণীসমূহ।
ওলামায়ে কেরাম বলেন: এই আয়াতে করীমার মধ্যে রমযানুল মুবারকের রোযা ফরয হওয়ার হিকমত বর্ণনা করা হয়েছে, সেই হিকমতটি হলো রমযান মাস হলো ঐ মাস, যেটাতে কুরআনে করীম অবতীর্ণ করা হয়েছে, এখন আল্লাহ পাক এই মুবারক মাসের রোযা ফরয করে দিয়েছেন! এজন্য রোযা রাখার, ক্ষুধা পিপাসা সহ্য করার বরকতে বিবেক সতেজ হয়ে থাকে, সুতরাং কুরআন নাযিলের মাসে রোযা ফরয করা হয়েছে যাতে মানুষ রোযা রাখে, তাদের অনুধাবন শক্তি মযবুত হয় আর সেটার বরকতে কুরআন বুঝা সহজ হয়ে যায়।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রতীয়মান হলো রমযানুল মুবারকের একটি বড় উদ্দেশ্য হলো কুরআনে করীমের সাথে সম্পৃক্ততা সৃষ্টি করা, কুরআন মজিদ পাঠ করা, সেটাকে অনুধাবন করার খুব