Book Name:Zoq e Ramzan Barqarar Rakhy
বর্ণনাকারী বলেন: হযরত আবু উমামা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ঘরে দিনের সময় মেহমান আসা ছাড়া কখনো ধোঁয়া দেখা যায়নি (অর্থাৎ তিনি দিনে খাবারই খেতেন না বরং রোযা রাখতেন)। (সহীহ ইবনে হিব্বান, খন্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ১৭৯, হাদীস: ৩৪১৬)
শাওয়ালের ছয় রোযা রাখার ৩টি ফযীলত
নবজাতক সন্তানের মত গোনাহ থেকে পবিত্র
(১) যে রমযানের রোযা রাখলো অতঃপর ৬দিন শাওয়াল মাসের রোযা রাখলো তবে (সে) গুনাহ থেকে এমনভাবে বের হয়ে গেলো যেন সে আজই মায়ের পেট থেকে জন্ম নিলো।
(মাজমাউয যাওয়ায়িদ, খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৪২৫, হাদীস: ৫১০২)
(২) যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো অতঃপর সেগুলোর পর ৬দিন শাওয়ালের রোযা রাখলো, তবে (সেগুলো) এমন যেন সে দাহর (অর্থাৎ সারা বছর) রোযা রাখলো। (মুসলিম, পৃষ্ঠা: ৪২৪, হাদীস: ১১৬৪)
(৩) যে (ব্যক্তি) ঈদের পর (শাওয়াল মাসে) ৬টি রোযা রাখলো তবে সে (যেন) পুরো বছর রোযা রাখলো, যে ১টি নেকী অর্জন করবে তার ১০টি নেকী মিলবে তবে রমযানের রোযা ১০ মাসের সমান আর এই ৬ দিনের বিনিময়ে ২ মাস তো সারা বছরের রোযা হয়ে গেলো।
(সুনানে কুবরা লিন নাসায়ি, খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ২৩৯, হাদীস: ২৮৭৩ ও ২৮৭৪)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! উত্তম হলো এটা যে,এই রোজা গুলো পৃথক করে করে রাখা তবে ঈদের পর ধারাবাহিক ভাবে ৬ দিনে একসাথে রাখলেও কোন সমস্যা নেই। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৪৮৫)