Ikhtiyarat e Mustafa

Book Name:Ikhtiyarat e Mustafa

    মনে রাখবেন! নামায ছেড়ে দেয়ার এই অনুমতি শুধুমাত্র ওই ব্যক্তির জন্যই নির্দিষ্ট ছিল অন্যদের জন্য এক ওয়াক্ত নামাযও শরীয়াতের অনুমতি ছাড়া ছেড়ে দেওয়া জায়িয নয়

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! মুসলমানদের জন্য পাঁচ () ওয়াক্ত নামায ফরয, কিন্তু প্রিয় নবী  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ওই ব্যক্তিকে নিজের ক্ষমতাবলে তিন () ওয়াক্ত নামায ছেড়ে দেয়ার অনুমতি প্রদান করলেন

    তাছাড়া রোযার কাফফারা সম্পর্কীতও একটি ঘটনা রয়েছে, তাও শুনে নিন কিন্তু তার পূর্বে এই মাসয়ালাটি মনে গেঁথে রাখুন যে, রোযা ভঙ্গ করার সাধারণ হুকুম হলো; রমযানুল মুবারকে কোন জ্ঞান সম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুকীম (অর্থাৎ মুসাফির নয় এমন) রোযা আদায়ের নিয়্যতে রোযা রাখল এবং কোন সঠিক অপারগতা ছাড়া জেনে-বুঝে সহবাস করল অথবা কোন জিনিসের স্বাদ গ্রহণের উদ্দেশ্যে খেয়ে নিলো বা পান করলো, তবে রোযা ভেঙ্গে গেল আর  এর কাযা কাফফারা দুটিই আবশ্যক (রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৩৮৮ পৃষ্ঠা) ( কাযা হচ্ছে সেই রোযাটি রমযান ছাড়া অন্য সময় আবার রেখে দিবে এবং) কাফফারা হচ্ছে; সম্ভব না হলে ধারাবাহিক (অর্থাৎ কোন বিরতী না দিয়ে) ৬০টি রোযা রাখবে এটাও সম্ভব না হলে ৬০ জন মিসকীনকে পেট ভরে দুবেলা খাওয়াবে (বাহারে শরীয়ত,৫ম অংশ, /৯৯৪) রোযা ভঙ্গকারী প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এটিই শরীয়াতের হুকুম  কিন্তু হুযুর নবী করীম  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁর মহান ক্ষমতাবলে এক সাহাবীর জন্য অত্যন্ত সুন্দর পদ্ধতিতে এই কাফফারা ক্ষমা করে দিয়েছেন যেমন-