Book Name:Farooq-e-Azam ka Ishq-e-Rasool
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! একটু ভাবুন তো! হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর মুবারক সত্ত্বায় প্রিয় আক্বা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রেম এবং তাঁর সুন্নাতের উপর আমল করার প্রেরণা কিরূপ প্রবল ছিলো যে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অনুসরনে তিনিও ছুরি দিয়ে জামার আস্তিন কেটে নিলেন কিন্তু তা সুন্দর হয়নি, তবুও তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এই অবস্থাই জামাটি পরিধান করাতে কোন লজ্জা বোধ করেননি, এটি উচ্চ পর্যায়ের সুন্নাতে মুস্তফার অনুসরন ছিলো।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ভালবাসার চাহিদা এটা নয় যে, যাকে ভালবাসা হবে, শুধুমাত্র তার সত্ত্বাতেই হারিয়ে গিয়ে নিজের ভালবাসাকে সীমাবদ্ধ করে রাখবে বরং ভালবাসা পোষণকারী তো নিজের প্রেমিকের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি বস্তুকেই ভালবাসে, তার পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধু বান্ধবকেও ভালবাসে।
হাসানাঈন করীমাঈন رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا কে
নিজের সন্তানের উপর প্রাধান্য দিলেন
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا থেকে বর্ণিত, যখন খেলাফতে ফারুকীতে আল্লাহ পাক সাহাবায়ে কিরামের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان হাতে (কিসরার রাজধানী) মাদায়িন বিজয় দান করলেন এবং গনিমতের মাল মদীনা মুনাওয়ারায় এলো তখন আমিরুল মুমিনিন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ মসজিদে নববীতে চাটাই বিছালেন এবং সমস্ত গনিমতের মাল এতে জমা করলেন। সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان মাল নেওয়ার জন্য জড়ো হয়ে গেলো। সর্ব প্রথম হযরত ইমাম হাসান رَضِیَ اللهُ عَنْہُ দাঁড়ালেন এবং বললেন: “হে আমিরুল মুমিনিন! আল্লাহ পাক যা মুসলমানদেরকে সম্পদ দান করেছেন, তা থেকে আমার অংশ আমাকে দিয়ে দিন।” তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: আপনার জন্য বড়ই মর্যাদা এবং সম্মান।” সাথেসাথেই তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এক হাজার দিরহাম তাঁকে দিয়ে দেন। তিনি নিজের অংশ নিলেন এবং চলে গেলেন। এরপর হযরত ইমাম হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ দাঁড়ালেন এবং নিজের অংশ চাইলেন। তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: আপনার জন্য বড়ই মর্যাদা এবং সম্মান রয়েছে।” সাথেসাথেই তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এক হাজার দিরহাম তাঁকেও দিয়ে দেন। এরপর