Book Name:Rizq Mein Izafa Ki Asbab
খাবারকে সম্মান করুন...!!
মনে রাখবেন, খাবারের প্রতি অবমূল্যায়ন ও অসম্মান প্রদর্শন দরিদ্রতার অন্যতম একটি কারণ। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم স্বীয় ঘরে আগমন করলে তিনি রুটির একটি টুকরো পড়ে থাকতে দেখেন। কাজেই তিনি তা হাতে তুলে নিয়ে ভালোভাবে ঝেড়ে খেয়ে নেন। অতঃপর ইরশাদ করেন: يَا عَائِشَةُ اَكْرِمِيْ كَرِيْمًا فَاِنَّهَا مَا نَفَرَتْ عَنْ قَوْمٍ قَطُّ فَعَادَت اِلَيْهِمْ অর্থাৎ হে আয়েশা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا! ভালো জিনিসকে সম্মান করো, কারণ এই জিনিস (অর্থাৎ রুটি) যখন কোনো জাতি থেকে পলায়ন করেছে তখন আর ফিরে আসেনি।
(ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা ৫৪৫, হাদীস ৩৩৫৩)
আল্লাহ পাক আমাদেরকে হালাল খাবার দান করুন এবং খাবারে প্রতি সম্মান প্রদর্শনের তৌফিক দান করুন।
اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖیْن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
১২টি দ্বীনি কাজের মধ্যে একটি দ্বীনি কাজ হলো “দরস”
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা, اَلْحَمْدُ لِلّٰه শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ আমাদের একটি মাদানী উদ্দেশ্য প্রদান করেছেন যে “আমাকে নিজের এবং সারা দুনিয়ার মানুষের সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে” اِنْ شَآءَ الله, তাই নিজের এবং সারা দুনিয়ার মানুষের সংশোধনের চেষ্টা করতে দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যেলি হালকার ১২টি দ্বীনি কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে দ্বীনি কাজকে আরও বেগবান করুন। যেলি হালকার ১২টি দ্বীনি কাজের মধ্যে একটি হলো “দরস”। দরস প্রদানের মাধ্যমে শুধু নেকীর দাওয়াত দেয়ার সাওয়াবই অর্জিত হয় না, বরং ইলমে দ্বীন অর্জনেরও সুযোগ তৈরি হয়। আর আমরা জানি, ইলমে দ্বীন অর্জনের অসংখ্য বরকত ও ফযিলত রয়েছে। হাদিসে পাকে ইলমে দ্বীন অর্জনকারী এবং সেটির প্রচারকারীকে দানশীল বলা হয়েছে।
হযরত আনাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত নবীয়ে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আমি কি তোমাদের সর্বাধিক উদার ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করবো না? অতঃপর তিনি ইরশাদ করেন: আল্লাহ পাক হলেন সর্বাধিক উদার, আর আমি হলাম আদম সন্তানদের মধ্যে সর্বাধিক উদারতম ব্যক্তি। আমার পরে সর্বাধিক উদার সেই ব্যক্তি যে জ্ঞান অর্জন করে অতঃপর তা মানুষের নিকট পৌঁছে দেয়। কিয়ামতের দিন সে একটি জাতি হিসেবে উঠবে। আর দ্বিতীয়ত সেই ব্যক্তি উদার যে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজেকে ওয়াকফ করে দেয়, এমনকি তাঁকে (আল্লাহর রাস্তায়) শহীদ করা হয়। (আবু ইয়া'লা, মুসনাদে আনাস বিন মালিক, ৩/১৬, নাম্বার ২৭৮২)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد