Rizq Mein Izafa Ki Asbab

Book Name:Rizq Mein Izafa Ki Asbab

আয়াত দ্বারা এও প্রতীয়মান হয় যে, জীবীকাও আল্লাহ পাকের এক অসীম অনুগ্রহ ও তাঁর প্রদত্ত এক অনন্য নেয়ামত।

 

সম্পদের দ্বীনি ও দুনিয়াবি উপকারিতা

            নিঃসন্দেহে সম্পদের মোহ কারো পক্ষে মঙ্গলজনক নয়। সম্পদের মোহ মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায় এবং ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করে। তবে ভালোভাবে জীবনযাপনের জন্য শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি ধন, সম্পদ ও জীবিকারও প্রয়োজন রয়েছে। এটা তো খুবই স্পষ্ট ও সর্বজন বিদিত বিষয় যে, সম্পদ হলে তবেই আমরা আমাদের জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারবো * সম্পদ হলে তবেই আমরা আমাদের সন্তান-সন্তুতি ও পরিবারের ভরণপোষণ যথাযথ করতে পারবো * সম্পদ হলে তবেই নিজেকে ও নিজের পরিবারকে দরিদ্রতার ছুবল থেকে রক্ষা করতে পারবো। * সম্পদ হলে তবেই সদকা ও দান-খয়রাত করার ফযিলত আমরা অর্জন করতে পারবো * সম্পদ হলে তবেই আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর হক্ব আদায়ে এগিয়ে আসতে পারবো। * সম্পদ হলে তবেই আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ মাদরাসা নির্মাণ করে সাওয়াবের ভাগীদার হতে পারবো
* সম্পদ হলে তবেই আমাদের জন্য হজ্ব করা সম্ভবপর হবে। * সম্পদ হলে তবেই বারবার মদীনা শরীফে হাজিরী দেয়াও সহজ হবে * এমনকি প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকলে শয়তানী কুমন্ত্রণা থেকেও রক্ষা পাওয়া সহজ হয়

 

কুফুরিতে পতিত হওয়ার একটি কারণ

            আল্লাহর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: كَادَ الْفَقْرُ اَنْ تَكُونَ كُفْرا অর্থাৎ শীঘ্রই দরিদ্রতা মানুষকে কুফুরিতে পতিত করবে। (শুয়াবুল ঈমান, ৫/২৬৭, হাদিস ৬৬১২)

            পক্ষান্তরে হাদিস শরীফে দরিদ্রতার অসংখ্য ফযিলতও বর্ণিত হয়েছে। দরিদ্রতা মন্দ নয়, বরং অত্যন্ত উপকারী ও কল্যাণময়। কিন্তু সেই দরিদ্রতা উপকারী ও কল্যাণময় যার মধ্যে কৃতজ্ঞতা রয়েছে। যেই দরিদ্রতায় কৃতজ্ঞতা থাকে না, বরং অভিযোগ ও নালিশ থাকে, সেই দরিদ্রতা মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। ক্ষুধার জ্বালা খুবই অসহনীয় ও ভয়ানক, তা ধৈর্য শক্তিকে পরাজিত করে ব্যক্তিকে অপরাগ করে দেয়। যখন কেউ ক্ষুধা নামক পরীক্ষার সম্মুখীন হয় তখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে, ঈমানের উপর দৃঢ় থেকে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া তার জন্য অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে পড়ে। অনেক মানুষ এমন রয়েছে যারা দরিদ্রতা ও অভাব- অনটনে ক্লান্ত হয়ে আল্লাহর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং অজ্ঞতাবশত অনেকে কুফুরি বাক্য পর্যন্ত বলে ফেলে। পৃথিবীতে এ ধরনের লোকও পাওয়া যায়, যারা পেটের ক্ষুধাকে নিবারণ করতে কিংবা ধন-সম্পদের মোহে পড়ে নিজেকে অমুসলিম বলে ঘোষণা দেয় এবং উন্নত জীবনের আশায় উন্নত রাষ্ট্রের ভিসা সংগ্রহ করে। (اسْتَغْفِرُ الله! اسْتَغْفِرُ الله!)

            আল্লাহ পাক আমাদের ঈমানকে হিফাযত করুন এবং ঈমানকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে রাখার তৌফিক দান করুন। সর্বোপরি, বর্তমান যুগে মুখাপেক্ষিতা এড়িয়ে পর্যাপ্ত হালাল জীবিকা অর্জনের মধ্যেই নিরাপত্তা রয়েছে।