Rizq Mein Izafa Ki Asbab

Book Name:Rizq Mein Izafa Ki Asbab

 

শয়তানের বিরুদ্ধে ঢাল

            হযরত সুফিয়ান সাওরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আল্লাহর এক মহান অলি ছিলেন। তাঁর জীবন সন্ধিক্ষণের সময় যখন ঘনিয়ে আসে, তখন তিনি একটি থলে বের করে বলেন: এর মধ্যে দিরহাম ও দিনার রয়েছে, এগুলো আল্লাহর পথে সদকা করে দাও! লোকেরা আরজ করলো: হুজূর, আপনি তো ধন-সম্পদ থেকে বেঁচে থাকার উপদেশ দিতেন, অথচ আপনি নিজেই সম্পদ সঞ্চয় করেছেন। এর রহস্য কী? প্রতি উত্তরে তিনি বলেন: আমি এর মাধ্যমে শয়তানের পাতানো ফাঁদ থেকে নিজেকে রক্ষা করি। শয়তান যখন আমাকে এই বলে কুমন্ত্রণা দেয় যে, কোথা থেকে খাবে? তখন আমি বলি: আমার সম্পদ আছে, আমি তা ব্যয় করবো। (তাযকিরাতুল আউলিয়া, পৃষ্ঠা ১৪৪)

            سُبْحٰنَ اللهনিঃসন্দেহে আল্লাহর অলিগণ হলেন আল্লাহ পাকের অতীব প্রিয় বান্দা। সুফিয়ান সাওরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ -এর এই কাজটি মূলত আমাদেরকে বুঝানোর জন্য ছিল। আল্লাহ পাক আমাদের বোঝার তৌফিক দান করুন। যাহোক, প্রয়োজন মোতাবেক হালাল জীবিকা উপার্জন করাও যেমন জায়িয, অনুরূপ নিজের পরিস্থিতি, অভ্যন্তরীণ অবস্থা ও তাওয়াক্কুলের স্তর ভেদে প্রয়োজনে সম্পদ সঞ্চয় করাও জায়িয। এ বিষয়ে আরও বিভিন্ন আলোচনা রয়েছে। সুতরাং বিস্তারিত জানতে চাইলে মাকতাবাতুল মদীনা থেকে প্রকাশিত “লোভ” নামক কিতাবটি অধ্যয়ন করুন। اِنْ شَآءَ الله এর ফলে আপনার দ্বীনি জ্ঞানের পরিধি আরও সমৃদ্ধি হবে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

শিক্ষণীয় হাদিসে পাক

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা, অভাব ও দরিদ্রতা থেকে বেঁচে হালাল জীবিকা উপার্জনের পন্থাসমূহ জানার পূর্বে আসুন, ঈমান উজ্জীবিতকারী শিক্ষণীয় একটি হাদিসে পাক শ্রবণ করি।

            তবে আপনাদরে নিকট অনুরোধ হলো, আমরা যারা গরিব রয়েছি তারা দরিদ্রতাকে সামনে রেখে এবং যারা ধনবান রয়েছি তারা ধনাঢ্যতাকে সামনে রেখে উক্ত হাদিসটি শ্রবণ করব اِنْ شَآءَ الله

            আল্লাহ পাকের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: দুনিয়ায় মূলত ৪ ধরনের লোক রয়েছে। (১) সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ পাক সম্পদও দান করেছেন এবং দ্বীনি জ্ঞানের সুমহান ভাণ্ডারও দান করেছেন। অতঃপর সে তার সম্পদের ব্যাপারে আল্লাহ পাককে ভয় করে, আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদাচারণ করে এবং আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য সম্পদের হক আদায় করে। এ ধরনের ব্যক্তি সর্বোত্তম স্তরের মধ্যে রয়েছে। (২) সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ পাক (দ্বীনি) জ্ঞানের ভাণ্ডার তো দান করেছেন, কিন্তু সম্পদ দান করেননি। তবে সে সত্য নিয়তের সহিত বলে: আমার নিকট যদি সম্পদ থাকতো, তবে আমিও অমুকের ন্যায় (নেকীর) কাজ করতাম। তাদের উভয়ই সাওয়াবের দিক থেকে সমান। (অর্থাৎ গরিব ও ধনী ব্যক্তির দুজনই সাওয়াবের দিক থেকে সমান। শুধু সত্য নিয়তের কারণে।) (৩) সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ পাক সম্পদ দিয়েছেন, তবে (দ্বীনি) জ্ঞান দান করেননি। অতএব সে জ্ঞান না থাকায় শরীয়ত বিরোধী কাজ করে, সম্পদের ব্যাপারে আল্লাহ পাককে ভয় করে না, আত্মীয়-