Book Name:Rizq Mein Izafa Ki Asbab
স্বজনদের সাথে সদাচারণ করে না, সম্পদের হক্বও আদায় করে না। এ ধরনের লোক হলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরের। (৪) সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ পাক ধন-সম্পদও দেননি, জ্ঞানও দেননি। সে বলে: আমার নিকট যদি সম্পদ থাকতো, তবে আমিও অমুকের ন্যায় কাজ করতাম। সুতরাং সে তার নিয়তের উপরই এবং এদের উভয়ের গুনাহ সমান। (তিরমিযী, কিতাবুল যুহুদ, পৃষ্ঠা ৫৫৭, হাদীস ২৩২৫)
কিরূপ শিক্ষণীয় হাদিস শরীফ! আমরা ধনী হই বা গরিব, সম্পদশালী হই বা অভাবী সর্বাবস্থায় আমাদের ইলমে দ্বীন অর্জন করতে হবে। সম্পদ হলো আগুনের স্ফুলিঙ্গ, যারা এর ব্যবহার জানে এটি তাদের জন্য উপকারী। আর যারা জানে না, তাদের ধ্বংস করে দেয়। সুতরাং ধনী- গরিব নির্বিশেষে সকলের জন্য অপরিহার্য হলো ইলমে দ্বীন অর্জন করা। প্রসিদ্ধ মুফাসসিরে কুরআন, হাকীমুল উম্মত, মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উক্ত হাদিস শরীফের আলোকে তিনি খুবাই চমৎকার একটি দোয়া লিখেছেন। তিনি বলেন: হে আল্লাহ পাক, তুমি আমাকে ওসমানী সম্পদ প্রদান করো এবং আবু জাহেলী সম্পদ থেকে রক্ষা করো।
(মিরাতুল মানাজিহ, ৭/১০১)
ওসমানী সম্পদ: অর্থাৎ সম্পদের সাথে ইলমে দ্বীন থাকা, হালাল পন্থায় উপার্জন করা, হালাল স্থানে ব্যয় করা, আল্লাহকে ভয় করা এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সম্পদের হক্ব আদায় করা। পক্ষান্তরে আবু জাহেলী সম্পদ হলো: যে সম্পদের সাথে ইলমে দ্বীন নেই। হারাম পন্থায় উপার্জন করা, হারাম স্থানে ব্যয় করা, আল্লাহ পাককে ভয় না করা এবং সম্পদের হক্ব আদায় না করা। আমরাও দোয়া করি, আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকেও ওসমানী সম্পদ প্রদান করেন এবং আবু জাহেলী সম্পদ থেকে সুরক্ষিত রাখেন। اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖیْن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
আসুন! জীবিকায় সমৃদ্ধি লাভারে কারণসমূহ জেনে নিই:
অধিকহারে ইস্তিগফার পাঠ করা:
আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় নবী, রাসূলে আরবি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم -কে আদেশ করেন: হে মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আপনি বলে দিন:
اَنِ اسْتَغْفِرُوْا رَبَّکُمْ ثُمَّ تُوْبُوْۤا اِلَیْهِ یُمَتِّعْکُمْ مَّتَاعًا حَسَنًا اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی
(পারা: ৪, সূরা: হুদ, আয়াত: ৩) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: আর এই যে, আপন প্রতিপালকের নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করো অতঃপর তারই প্রতি তাওবা করো তিনি তোমাদেরকে অতি উত্তম সামগ্রী উপভোগ করতে দেবেন।
অর্থাৎ হে নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! লোকেদের এই নির্দেশ প্রদান করুন, তোমরা তোমাদের অতীতের গুনাহের জন্য আল্লাহ পাকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং ভবিষ্যতে গুনাহ থেকে বিরত থাকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করো। সুতরাং যে তার গুনাহ থেকে তওবা করবে এবং একনিষ্ঠতার সহিত আল্লাহ