Book Name:Rizq Mein Izafa Ki Asbab
জীবীকায় সমৃদ্ধি লাভের দু’টি রূহানী অযিফা
(১) একদা জনৈক সাহাবী প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم -এর সৌভাগ্যময় খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দুনিয়া আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁকে অভাব-অনটন থেকে মুক্তি লাভের রূহানী অযিফা বলে দিতে গিয়ে ইরশাদ করেন: তোমার কি ফেরেশতাদের সেই তাসবির কথা মনে নেই, যেই তাসবির বরকতে জীবীকা প্রদান করা হয়। অতঃপর ইরশাদ করেন: ফজর উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০০ বার এভাবে পাঠ করবে: سُبْحٰنَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سَبْحٰنَ اللهِ الْعَظِيمِ، اَسْتَغْفِرُ الله
সেই সাহাবী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অযিফা শুনে চলে গেলেন এবং কিছুদিন পর পুনরায় এসে আরজ করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! দুনিয়া এখন আমার নিকট এতটাই প্রাচুর্যতা নিয়ে ধরা দিয়েছে যে, আমি এখন অস্থির হয়ে পড়েছি, এতো সম্পদ রাখব কোথায়। (খাসাইসুল কুবরা, ২/২৯৯)
(২) হযরত সাহল বিন সা’দ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: একদা এক ব্যক্তি প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم -এর দরবারে এসে স্বীয় দরিদ্রতা ও অভাবের ব্যাপারে অভিযোগ জানালো। অভিযোগের সমাধান দিতে গিয়ে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যখন তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ করবে, তখন পরিবারের লোকদের সালাম করবে! আর যদি ঘরে কেউ না থাকে তবে আমার প্রতি সালাম জানাবে এবং একবার قُل هُوَ اللهُ اَحَدٌ (অর্থাৎ সম্পূর্ণ সূরা ইখলাস) পাঠ করবে।
সেই সাহাবী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ঘরে ফিরে রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم -এর প্রদত্ত অযিফার উপর আমল করতে আরম্ভ করলেন। অর্থাৎ যখন ঘরে প্রবেশ করতেন তখন পরিবারের সদস্যদের সালাম প্রদান করতেন। সেই সঙ্গে সূরা ইখলাসও পাঠ করতেন। এই মাহাত্ম্যপূর্ণ আমলের বরকতে তাঁর প্রতি আল্লাহর এতটাই অনুগ্রহ হলো যে, তিনি নিজের প্রাপ্ত ধন-সম্পদের মাধ্যমে নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদেরও সেবা করতে লাগেন। (তাফসীরে ক্বুরতুবি, পারা: ৩০, সূরা ইখলাস, ১নং আয়াতের পাদটীকা, ১০/৪৭৬৫)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
জীবিকাও আল্লাহর এক অনন্য নেয়ামত
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা, জীবিকাও আল্লাহ পাকের প্রদত্ত এক অনন্য নেয়ামত। আল্লাহ পাক কুরআন মজিদে ইরশাদ করেন:
فَاِذَا قُضِیَتِ الصَّلٰوۃُ فَانْتَشِرُوْا فِی الْاَرْضِ وَ ابْتَغُوْا مِنْ فَضْلِ اللّٰهِ
(২৮ পারা, সূরা জুমা, আয়াত ১০) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: অতঃপর যখন নামাজ শেষ হলো, তখন ভূ-পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো। আর আল্লাহকে খুব স্মরণ করো! এ আশায় যে, সাফল্য লাভ করবে।
অর্থাৎ যখন (জুমার) নামাজ আদায় করে নেবে, তখন তোমাদের জন্য বৈধ রয়েছে, জীবিকার জন্য কোনো কাজে নিয়োজিত হওয়া। (তাফসীরে সিরাতুল জিনান, ২৮ পারা, সূরা জুমা, ১০ নং আয়াদের পাদটীকা, ১০/১৫৭) উক্ত