Faizan e Imam Hasan Basri رَحمۃُ اللہِ عَلَیْہ

Book Name:Faizan e Imam Hasan Basri رَحمۃُ اللہِ عَلَیْہ

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অনেক বড় আলিম, যাহিদ (অর্থাৎ দুনিয়াবিমুখ), অনেক বড় নেককার (Virtuous), ধর্মপরায়ণ, ইবাদতকারী ছিলেন, ইলমে দ্বীনের প্রভাব ও ইবাদতের নুর তাঁর চেহারায় চমকাতো, এমনকি কেউ তাঁকে কোনদিন না দেখলেও চিনে ফেলতো। একবার এক অপরিচিত লোক বসরায় আসলো, (হয়তো সে ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কথা শুনেছিলো, সুতরাং) সে কারো নিকট ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো, তখন তাকে বলা হলো: মসজিদে যাও! সেখানে এমন ব্যক্তিকে দেখবে যে, যার মতো তুমি কখনো আর কাউকে দেখনি, ব্যস ধরে নিবে তিনিই ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ(আদাবুল হাসানিল বসরি, ২৪ পৃষ্ঠা)

 

ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বসরার সর্দার

            ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর যুগে এক ব্যক্তি ছিলো: হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। সে তখনকার শাসক ছিলো আর অনেক বড় অত্যাচারীও (Tyrant) ছিলো বটে। একদিন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ হযরত খালিদ বিন সাফওয়ান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে জিজ্ঞাসা করলো: বসরার সর্দার কে? বললেন: হযরত হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হাজ্জাজ অবাক হয়ে বললো: এটা কিভাবে হতে পারে? হাসান বসরি তো একজন ত্রুীতদাস। হযরত সাফওয়ান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: হাকিকি সর্দার হযরত হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ, কেননা লোক ইলমে দ্বীন শেখার ক্ষেত্রে তাঁর মুখাপেক্ষি কিন্তু ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কোন বান্দার প্রতি মুখাপেক্ষি নন। আল্লাহ পাকের শপথ! আমি বসরার কোন সম্মানীত (Dignitary) ব্যক্তিকে এমন দেখিনি, যে ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর খেদমতে উপস্থিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করেনি, সকলেই তাঁর ওয়াজ শোনার আগ্রহ রাখে, তাঁর খেদমতে হাজিরি দেয়ার খুবই আগ্রহী।

            এটা শুনে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বললো: وَالله (আল্লাহ পাকের শপথ) তিনিই হলেন আসল সর্দার। (জামে বয়ানিল ইলম ওয়া ফুদালা, / ২৪২, নং: ৩৩২)

 

ইলমে দ্বীন নেতা বানিয়ে দেন

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসলেই কথা সত্য, ইলমে দ্বীন ও এর উপর আমল, এই দুটি জিনিস যেই মানুষের মাঝে একত্রিত হয়ে যায়, তাকে নেতা বানিয়ে দেন। সাহাবিয়ে রাসূল হযরত আনাস বিন মালেক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হতে বর্ণিত, রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: নিশ্চয় ইলমে দ্বীন সম্মানীত লোকের সম্মান বৃদ্ধি করে এবং গোলামকে বাদশাহের মজলিশে বসিয়ে দেয়। (হিলয়াতুল আউলিয়া, খন্ড: ৬, পৃষ্ঠা ১৮৫, নং: ৮২৩৫)

            আল্লাহ পাক আমাদেরকেও ইলমে দ্বীন অর্জন করার ও একনিষ্টতার সাথে তার উপর আমল করার তাওফিক দান করো।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد