Book Name:Faizan e Imam Hasan Basri رَحمۃُ اللہِ عَلَیْہ
নামায আদায় করেন। ইমাম সাহেব আরও বললেন: ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ যার পথপ্রদর্শক (Leader) হবে, তার অন্য কারো প্রয়োজন হবে না...!!
(তাযকিরাতুল আউলিয়া, ৪০ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত হাসান বসরি رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ উচ্চ মর্যাদার বুযুর্গ * এক বর্ণনা
অনুযায়ী তিনি ১৩০জন সাহাবায়ে কেরামের عَلَیْہِمُ
الرِّضْوَان সাথে সাক্ষাত করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন * এদের মধ্যে
৭০জন বদরী (অর্থাৎ বদর যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী) সাহাবায়ে কেরাম
عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। (সিয়ারু আ’লামুন নুবালায়ি, খন্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৪৫৯) * ইমাম হাসান
বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর জন্ম মদীনা মুনাওয়ারায় মুসলমানদের
দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারূকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ
এর শাসনামলে হয়েছিলো। (সিয়ারু আ’লামুন নুবালায়ি, খন্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৪৫৭) * জন্মের পর
তাঁকে আমিরুল মুমিনিন হযরত ওমর ফারূকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ
এর খেদমতে উপস্থিত করা হলো, তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ীই
তাঁর নাম হাসান রাখা হয়েছে। (তাযকিরাতুল আউলিয়া, ৩৪ পৃষ্ঠা) * ইমাম হাসান
বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর উপনাম হলো আবু সায়্যিদ। (সিয়ারু আ’লামুন নুবালায়ি, খন্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৪৫৬) *তাঁর সম্মানীত
মাতা মুসলমানদের আম্মাজান হযরত উম্মে সালমা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا
এর কন্যা ছিলেন। (সিয়ারু আ’লামুন নুবালায়ি, খন্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৪৫৭) * বর্ণিত আছে:
যখন ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সম্মানীতা আম্মা
কোন কাজে ব্যস্ত হতেন আর তিনি কান্না করতে থাকতেন তখন উম্মুল মুমিনিন হযরত উম্মে সালমা
رَضِیَ اللهُ عَنْہَا আন্তরিকতার টানে তাঁকে শান্ত করার জন্য
দুধ পান করাতেন। (আদাবুল হাসানিল বসরি, ২৩ পৃষ্ঠা)
* ওলামাগণ বলেন: হযরত উম্মে সালমা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا
এর মাধ্যমে ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ
এর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
এর ফয়যান নসীব হয়েছে, তাঁরই বরকতে তিনি رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ অতুনলণীয় ইলম, আমল, তাকওয়ার অধিকারী
ছিলেন, হযরত হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ
এর মুখে হিকমতের বাক্য জারী হতো আর তিনি মা’রিফাতে ইলাহী
(অর্থাৎ আল্লাহ পাকের পরিচয় জানার) ক্ষেত্রে উচ্চ মর্যাদায় সমাসীন হয়েছেন। (আদাবুল হাসানিল
বসরি, ২৩ পৃষ্ঠা) * রজবুল মুরাজ্জব
১১০ হিজরিতে তাঁর ওফাত হয়, ওফাতের সময় তাঁর বয়স ছিলো ৮৮ বছর। বসরায়
জুমার নামাযের পর তাঁর জানাযার নামায আদায় করা হয় যাতে অসংখ্য লোক অংশগ্রহন করে। (সিয়ারু আ'লামুন
নুবালায়ি, খন্ড: ৫, পৃষ্ঠা ৪৭২-৪৭৩)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
ইলমের প্রভাব ও ইবাদতের নুর