Book Name:Behtar Kon?
হবে। যদি আমরা এই প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই বাণী অনুযায়ী উত্তম মুসলমান হই, তবে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করতে হবে। আর যদি, আল্লাহ না করুক, এমন না হয়, আমরা উত্তম না হই, তবে আমাদের এই হাদীসগুলো গ্রহণ করে উত্তম হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আসুন! হাদীস শরীফ শুনি:
(১): খাবার খাওয়ানো, সালামের উত্তর দেওয়া
রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: خِیَارُکُمْ مَنْ اَطْعَمَ الطَّعَامَ وَ رَدَّ السَّلَامَ অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে উত্তম সে, যে খাবার খাওয়ায় এবং সালামের উত্তর দেয়। (মুসনাদে ইমাম আহমদ, খণ্ড: ৯, পৃষ্ঠা: ৭০২, হাদীস: ২৪৬৫২)
এই হাদীস থেকে জানা গেল, যে মুসলমান মানুষকে খাবার খাওয়ায় এবং সালামের উত্তর দেয়, সে-ই সর্বোত্তম। এখন আমাদের প্রত্যেকের ভেবে দেখা উচিত, আমি কি মানুষকে খাবার খাওয়াই? আমি কি সালামের উত্তর দিই? যদি ভেতর থেকে বিবেক 'হ্যাঁ' বলে উত্তর দেয়, তবে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করুন! আর যদি 'না' উত্তর আসে, তবে আজ থেকেই এই দুটি কাজ গ্রহণ করার নিয়্যত করে নিন! (১): অন্যদের খাবার খাওয়ানো, (২): সালামের উত্তর দেওয়া।
আল্লাহ পাক সূরা দাহর-এর ৮ নম্বর আয়াতে জান্নাতীদের গুণাবলীর মধ্যে একটি গুণ এভাবে বর্ণনা করেছেন:
وَ یُطْعِمُوْنَ الطَّعَامَ عَلٰی حُبِّہٖ مِسْکِیْنًا وَّ یَتِیْمًا وَّ اَسِیْرًا
(পারা ২৯, সূরা দাহর, আয়াত ৮) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: এবং আহার করায় তাঁর ভালবাসার উপর মিসকীন, এতীম ও বন্দীকে ।
সদরুল আফাযিল হযরত আল্লামা মাওলানা সায়্যিদ মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন মুরাদাবাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই আয়াতের অধীনে লিখেছেন: অর্থাৎ এমন অবস্থায় যখন তাদের নিজেদেরই খাবারের প্রয়োজন ও ইচ্ছা থাকে। আর কিছু মুফাসসির এর অর্থ করেছেন যে, তারা আল্লাহর ভালবাসায় খাবার খাওয়ায়। (তাফসীরে খাযাইনুল ইরফান, পারা: ২৯, সূরা দাহর, ৮নং আয়াতের পাদটিকা, পৃষ্ঠা: ১০৭৩)