Shan e Iman e Siddique

Book Name:Shan e Iman e Siddique

ঈমান হলো প্রথম নেকী

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ঈমান অর্থাৎ কালেমা তায়্যিবা لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْ لُ الله পাঠ করে ইসলামের ছায়াতলে প্রবেশ করা হলো সর্বপ্রথম নেকী এই নেকীর (অর্থাৎ ঈমান) দ্বারাই পরকালীন পুণ্যের দরজা খুলে যায়। যে কালেমা পড়েছে, ঈমান গ্রহণ করেছে, সে পরকালীন দিক দিয়ে খুবই মহান ব্যক্তি। অতঃপর এই ঈমান যত মজবুত হবে, ঈমানের অবস্থা ততই বৃদ্ধি পাবে, বান্দার পুণ্য বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

 

          اَلْحَمْدُ لِلّٰه! সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان থেকে আজ পর্যন্ত সকল নবী প্রেমিকদের সর্বসম্মত আকিদা হলো মুসলমানদের প্রথম খলিফা, রাসূলের সেনাপতি ও উপদেষ্টা, গুহা ও মাযারের সাথী, আশিকে আকবর, সিদ্দিক আকবর, হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ নবীগণ عَلَیْہِم السَّلَام এর পর সকল মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ(ফাতাওয়ায়ে রযবীয়া, ২৮/৪৭৮) তাঁর উত্তম হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে, তন্মধ্যে একটি কারণ এটাও যে, হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মুমিন।

 

          হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ 'র ঈমানের কী অপরূপ মহিমা? তিনি ঈমানের সর্বোচ্চ পদে কিভাবে অধিষ্ঠিত হন? আমরা পাপী হযরত আবু বকর সিদ্দীক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ফয়যান দ্বারা কিভাবে আমাদের ঈমান মজবুত করতে পারবো? এ প্রসঙ্গে আজ আমরা কয়েকটি মাদানী ফুল শোনার সৌভাগ্য করবো আল্লাহ পাক আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ঈমানের ওসিলায় আমাদেরকে ঈমানের পরিপূর্ণতা দান করুন, ঈমানের চাহিদা সমূহ অনুসরণ করার তাওফীক দান করো

اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

সিদ্দিকের ঈমান আসমানী ওহীর মতোই

          হযরত রাবিয়া ইবনে কা'رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ঈমান আসমানী ওহীর মতো, তিনি সিরিয়া দেশে বাণিজ্যের জন্য গিয়েছিলেন, সেখানে তিনি একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা বুহাইরা নামক এক সন্ন্যাসীর কাছে বর্ণনা করেন। সে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন: আপনি কোথা থেকে এসেছেন? তিনি বললেন: মক্কা থেকে। অতঃপর সে জিজ্ঞেস করলো: তুমি কোন গোত্রের লোক? তিনি বললেন: কুরাইশ। জিজ্ঞেস করলো: কি করো? সে বললো: যদি তোমার স্বপ্ন সত্যি হয় তাহলে তোমাদের গোত্রে একজন নবী প্রেরিত হবেন এবং তাঁর জীবদ্দশায় তুমি তার সেনাপতি এবং ওফাতের পর তার সঙ্গী হবে, হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ উক্ত ঘটনাটি গোপন রাখেন, কাউকে বলেননি। অতঃপর যখন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নবুয়তের ঘোষণা দেন তখন হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ নববী দরবারে আরজ করেন: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,