Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar
মধ্যে দরজায় কেউ করাঘাত করলো, কসাই উঠে বাইরে গেলো। হযরত মুসা عَلَیْہِ السَّلَام ঐ ঝুড়িতে দেখলেন যে, এর ভেতর অতিশয় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা ছিলো।
হযরত মুসা عَلَیْہِ السَّلَام এর প্রতি দৃষ্টি পড়তেই তাদের ঠোঁটে মুচকি হাসি (Smile) এসে গেলো, তারা তাঁর পুস্তিকাতের সাক্ষ্য দিলো এবং ঐ মুহুর্তেই মৃত্যুবরন করলো। কসাই ফিরে এসে ঝুড়িতে আপন পিতামাতাকে মৃত অবস্থায় দেখে ঘটনা বুঝে গেলো এবং হযরত মুসা عَلَیْہِ السَّلَام এর হাত চুম্বন করে আরয করলো: আপনাকে আল্লাহর নবী হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام বলে মনে হচ্ছে। বললেন: তোমার কিভাবে ধারণা হলো? আরয করলো: আমার পিতামাতা প্রতিদিন কেঁদে কেঁদে দোয়া করতেন যে, “আমাদেরকে হযরত মুসা عَلَیْہِ السَّلَام এর জলওয়াতে মৃত্যু দান করো।” এ দু’জনের এভাবে হঠাৎ ইন্তিকাল করাতে আমার ধারণা হলো যে, আপনিই হযরত মুসা عَلَیْہِ السَّلَام ই হবেন। কসাই আরো আরয করলো: আমার মা যখন খাবার খেয়ে নিতেন, তখন খুশি হয়ে আমার জন্য এই দোয়া করতেন: “আমার ছেলেকে জান্নাতে হযরত মুসা عَلَیْہِ السَّلَام এর সঙ্গী বানিয়ো। হযরত মুসা عَلَیْہِ السَّلَام বললেন: তোমাকে মোবারকবাদ যে, আল্লাহ পাক তোমাকে জান্নাতে আমার সঙ্গী করেছেন। (সামুদ্রিক গুম্বদ, ৮ পৃষ্ঠা)
আমিরুল মুমিনিন হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে “আতীক” বলার একটি কারণ এটাও বর্ণনা করা হয়েছে যে, তাঁর মায়ের কোন সন্তান বাঁচতো না, যখন তাঁর জন্ম হলো, তখন তাঁর মা তাঁকে নিয়ে বাইতুল্লাহ শরীফে গেলেন এবং কেঁদে কেঁদে এভাবে দোয়া করলেন: হে আমার প্রতিপালক! যদি আমার এই সন্তান মৃত্যু থেকে পরিত্রাণ পায় তবে তাকে আমাকে দান করো। এরপর থেকে তাঁকে আতীক বলা হতে থাকে।
(তারিখুল খোলাফা, ২২ পৃষ্ঠা)
সুলতানুল আরেফিন, হযরত বায়েজিদ বোস্তামি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আরেফিনদের ইমাম এবং যুগের গাউস ছিলেন, ১৬০ হিজরীতে ইরানের বোস্তাম শহরে জন্ম গ্রহণ করেন, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাকওয়া ও পরহেযগারী, সদাচরন, সহানুভূতি, ইবাদত ও রিয়াযতে অভ্যস্ত ছিলেন, তাঁর সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তিনি যখন নামায পড়তেন তখন আল্লাহ পাকের ভয়ের