Maa Ki Dua Ka Asar

Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar

কারণে তাঁর বুকের হাঁড়ের কড়মড় আওয়াজ শুনা যেতো, এমনকি লোকেরাও এই আওয়াজ শুনতো ১৫ শাবানুল মুয়াযযম ২৬১ হিজরীতে তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ওফাত গ্রহণ করেন এবং আজও তাঁর নূরানী মাযার বোস্তাম শহরে রয়েছে (তাবকাতে সূফিয়া, ৬৭ পৃষ্ঠা তাযকিরায়ে মাশায়িখে নকশবন্দীয়া, ৬৫, ৭০,৭২ পৃষ্ঠা) আসুন! তাঁর মায়ের সম্মান সম্পর্কে একটি ঘটনা শ্রবণ করি

    হযরত বায়েজিদ বোস্তামী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: তীব্র শীতের এক রাতে আমার মা আমার নিকট পানি চাইলেন, আমি গ্লাস ভর্তি করে পানি নিয়ে আসলাম কিন্তু তখন মায়ের ঘুম এসে গিয়েছিলো, আমি জাগানো ঠিক মনে করলাম না, তাই পানির গ্লাস হাতে নিয়ে এই অপেক্ষায় মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়ে রইলাম যে, তিনি জাগ্রত হলেই পানি প্রদান করবো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলো এবং গ্লাস থেকে গড়িয়ে কিছু পানি আমার আঙ্গুলে (Finger) গড়িয়ে পরে জমে বরফ হয়ে গিয়েছিলো যাহোক যখন আম্মাজান জাগ্রত হলেন আমি পানির গ্লাস উপস্থাপন করলাম, বরফের কারণে লেগে থাকা আঙ্গুল হতে গ্লাস যখনই পৃথক হলো তখন সেখান থেকে চামড়া উঠে গেলো এবং রক্ত বের হতে লাগলো, আম্মাজান দেখে বললেন: এটা কি? আমি পুরো ঘটনা আরয করলাম, তখন তিনি হাত উঠিয়ে দোয়া করলেন: হে আল্লাহ! আমি তার উপর সন্তুষ্ট, তুমিও তার উপর সন্তুষ্ট থেকো (সামুদ্রিক গুম্বদ, পৃষ্ঠা)

মহৎ মা

    মুহাদ্দিসে আযম পাকিস্তান হযরত আল্লামা মাওলানা সরদার আহমদ কাদেরী চিশতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ পশ্চিম পাঞ্জাবে (ভারত) ১৩২১ হিজরী অনুযায়ী ১৯০৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১লা শাবান ১৩৮২ হিজরী অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ১৯৬২ সালে ওফাত লাভ করেন। তাঁর শিশুকাল সাথারণ শিশুদের চেয়ে ভিন্ন ছিলো, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বাল্যকাল থেকেই দ্বীনি বিষয়াদীতে আকর্ষিত ছিলেন। যখন হাঁটতে শিখেন তখন সম্মানিত পিতার সাথে মসজিদে নামায পড়তে যেতেন। যিকির ও নাত পাঠে এতোই আগ্রহ ছিলো যে, সাধারনত চলতে ফিরতেই নাত পাঠ করতেন এবং আল্লাহ পাকের যিকির করতেন। (হায়াতে মুহাদ্দিসে আযম, ৩০ পৃষ্ঠা) তাঁর মহিমা ও মহত্বে তাঁর মায়ের দোয়ারও প্রভাব রয়েছে। তাঁর সম্মানিতা