Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar
আম্মাজান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا প্রায় বলতেন: اِنْ شَآءَ الله আমার এই আদুরে সন্তান মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী হবে এবং পাশাপাশি এই দোয়াও করতেন: তার নাম সরদার, আল্লাহ পাক তাকে দ্বীন ও দুনিয়ার সরদার বানাক এবং দুনিয়া দেখেছেও যে, আসলেই মহান এই সন্তানের হকে করা মায়ের দোয়া কবুল হয়েছিলো এবং আল্লাহ পাক তাঁকে সরদার বানিয়ে দিলেন। (হায়াতে মুহাদ্দিসে আযম, ৩০ পৃষ্ঠা)
سُبْحٰنَ الله! শুনলেন তো আপনারা! মা যখন সন্তানের জন্য দোয়া করে, তখন এর কিরূপ মোবারক প্রভাব প্রকাশ পায় যে, মায়ের দোয়ার বরকতে একজন কসাই শুধু জান্নাতের অধিকারী হয়নি বরং তাকে জান্নাতে আল্লাহ পাকের নবী হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর প্রতিবেশীত্বও দান করার সুসংবাদ দ্বারা ধন্য করা হয়েছে আর মায়ের দোয়ার বরকতেই মুহাদ্দিসে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে দ্বীন ও দুনিয়ার নেতৃত্ব দান করা হয়েছে। এটাও জানা গেলো যে, আমাদের বুযুর্গানে দ্বীনরা رَحِمَہُمُ اللهُ عَلَیْہِمْ اَجْمَعِیْن নিজেদের পিতামাতার সেবা শশ্রুষা করে তাঁদের সন্তুষ্ট রেখে তাঁদের দোয়ার অংশীদার হতেন। সুতরাং আমাদেরও উচিৎ যে, আমরাও এই আল্লাহ ওয়ালাদের পদাঙ্ক অনুসরন করে নিজের মায়ের সেবায় ব্রত হয়ে যাওয়া, যেনো আমরাও তাঁদের চোখের মনি হয়ে যাই এবং তাঁরা খুশি হয়ে স্বয়ং আমাদের জন্য দোয়া করে যে, “আল্লাহ! আমার সন্তানকে হাফিযে কুরআন, দা’ওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগা, আলিমা বানিয়ে দাও, তাদেরকে উভয় জগতে সফলতা দান করো, তাদেরকে বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করাও, তাদের প্রতি সর্বদার জন্য রাজি হয়ে যাও” ইত্যাদি। তো আসুন! আজ আমরা নিয়্যত করি যে, নিজ নিজ পিতামাতার সেবা করতে থাকবো, তাঁদের অবাধ্যতা করা থেকে বিরত থাকবো, তাঁদের সাথে তর্ক করবো না, তাঁদের সামনে আওয়াজকে ধীরে এবং দৃষ্টিকে নিচে রাখবো, তাঁদের স্বভাব বিরোধী কথা এবং কড়া কথায় ধৈর্য ধারন করবো, তাঁদের প্রয়োজনাদী পূরণ করবো, পিতামাতার পছন্দ ও অপছন্দের প্রতি সজাগ থাকবো, পিতামাতার দুঃখ কষ্টে তাঁদের সহায় হবো, পিতামাতার আরামে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবো না, অসন্তুষ্ট পিতামাতাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করবো, তাঁদের খাবার দাবার, থাকা, ঔষধ এবং অন্যান্য বিষয়ে তাঁদের সহযোগিতা করবো, তাঁদের সকল জায়িয আদেশ মান্য করবো। اِنْ شَآءَ الله
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد