Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar
পিতামাতার মধ্যে একজন হয় তবে একটি দরজা (Door) খোলা হয়। এক ব্যক্তি আরয করলো: وَاِنْ ظَلَمَاهُ؟ অর্থাৎ যদি তারা অত্যাচার করে? ইরশাদ করলেন: যদিও তারা অত্যাচার করে, যদিও তারা অত্যাচার করে, যদিও তারা অত্যাচার করে।
(শুয়াবুল ঈমান, বাবু ফি বিররুল ওয়ালিদিন, ৬/২০৬, হাদীস নং-৭৯১৬)
(৩) এক ব্যক্তি আরয করলো: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! পিতামাতার প্রতি তার সন্তানের কি হক রয়েছে? ইরশাদ করলেন: هُمَا جَنَّتُكَ وَنَارُكَ অর্থাৎ তারাই তোমার জান্নাত এবং তোমার দোযখ।
(ইবনে মাজাহ, কিতাবুল আদব, বাবু বিররুল ওয়ালিদিন, নম্বর-৩৬৬২, ৪/১৮৬)
(৪) এক ব্যক্তি রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর খেদমতে এসে আরয করলেন: আমার উত্তম সেবা যত্নের সবচেয়ে বেশী অধিকারী কে? ইরশাদ করলেন: তোমার মা। সে আরয করলো: অতঃপর কে? ইরশাদ করলেন: তোমার মা। সে আবারো আরয করলো: অতঃপর কে? ইরশাদ করলেন: তোমার মা। আরয করলো: অতঃপর কে? ইরশাদ করলেন: তোমার পিতা। (বুখারী, কিতাবুল আদব, ৪/৯৩, হাদীস নং-৫৯৭১)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! বর্ণনাকৃত হাদীসে মোবারাকা সমূহ থেকে জানা গেলো যে, পিতামাতার সম্মান ও মর্যাদা খুবই উচ্চ, মানুষ যদি তাঁদের সন্তুষ্ট রাখে তবে তার দুনিয়া ও আখিরাত সজ্জিত হয়ে যায় আর তাঁদের অসন্তুষ্ট করা জাহান্নামে নিক্ষেপকারী কাজ। এটাও জানা গেলো যে, পিতামাতা যদিও অত্যাচার করে তবু সন্তানের প্রতি তাঁদের আনুগত্য করা আবশ্যক, যদি পিতামাতা কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হয়, ধমকায়, মারপিট করে বা বিরক্ত হয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় তবে তার উচিৎ যে, সে যেনো পিতামাতার দোষ মনে করার পরিবর্তে নিজেকে এভাবে নিন্দা করা যে, এতে আমার নিজেরই ভূল। যদি আমি তাঁদের সন্তুষ্ট রাখতাম এবং তাঁদের সেবাকারী হয়ে যেতাম, তবে আজ আমাকে এই দিন দেখতে হতো না, কেননা পিতামাতা তো সন্তানের প্রতি অনেক বেশী দয়ালূ হয়ে থাকে, তারা কেনইবা আমার সাথে এরূপ আচরণ করবে। আর শেষ হাদীস থেকে এটা জানা গেলো যে, মায়ের হক পিতার তুলানাই বেশি, মা পিতার তুলানাই সন্তানের নিকট সদাচরণের বেশি হকদার। সুতরাং যাদের পিতামাতা জীবিত তারা ভাবুন যে, আমরা কি