Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar
গোপন করো না, (৬) তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের ওসীয়ত পূর্ণ করা, (৭) তাঁদের জন্য ফাতেহাখানি, দান-খয়রাত এবং কুরআন মজীদ তিলাওয়াত দ্বারা ইসালে সাওয়াব করা, (৮) আল্লাহ পাকের দরবারে তাঁদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা, (৯) পিতামাতার সাথে সদাচরণের মধ্যে এটাও রয়েছে যে, যদি তাঁরা কোন গুনাহে অভ্যস্থ হন কিংবা বদ মাযহাবের (ভ্রান্ত আক্বীদা পোষণকারী) শিকার হয়ে পরেন তবে তাঁদেরকে অতীব নম্রতা ও বিনয় সহকারে সংশোধন, খোদাভীতি এবং সঠিক আক্বীদার দিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকুন। মোটকথা যদি সারা জীবন পিতামাতার সেবা করা হয় তবুও তাঁদের অনুগ্রহের বিনিময় হতে পারেনা। (খাযায়িনুল ইরফান, ৩৩ পৃষ্ঠা, ১ম পারা, সূরা বাকারা, ৮৩ নং আয়াতের পাদটিকা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! যেমনিভাবে কুরআনে পাকে পিতামাতার সম্মান ও আদব করার উৎসাহ দেয়া হয়েছে, তেমনিভাবে হাদীসে মোবারাকায়ও অসংখ্য স্থানে পিতামাতার আনুগত্য ও বাধ্য হওয়ার আদেশ এবং তাঁদের শান ও মহত্বকে বর্ণনা করা হয়েছে। আসুন! উৎসাহ গ্রহনার্থে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর চারটি বাণী শ্রবণ করি:
(১) ইরশাদ হচ্ছে: যখন সন্তান তার পিতামাতার দিকে দয়ার দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তখন আল্লাহ পাক তার জন্য প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে কবুলকৃত হজ্বের সাওয়াব লিখে দেন। সাহাবায়ে কিরাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ আরয করলেন: যদিওবা দিনে ১০০ বার দৃষ্টি নিক্ষেপ করে! ইরশাদ করলেন: نَعَمْ، اَللّٰہُ اَکْبَرُ وَاَطْیَبُ অর্থাৎ হ্যাঁ, আল্লাহ পাক সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বেশী পবিত্র। (শুয়াবুল ঈমান, ৬/১৮৬, হাদীস নং-৭৮৫৬) অর্থাৎ তিনি সবকিছুর ক্ষমতাবান, তিনি তা থেকে পবিত্র যে, তাঁকে তা (সাওয়াব) দিতে পারবে না বলা। (বাহারে শরীয়ত, ৩/৫৫৪, ১৬তম অধ্যায়)
(২) ইরশাদ হচ্ছে: যে তার পিতামাতার আনুগত্য করাবস্থায় সকাল করলো, তবে তার জন্য জান্নাতের দু’টি দরজা খুলে দেয়া হয়, যদি পিতামাতার মধ্যে একজন হয় তবে একটি দরজা খোলা হয় এবং যে এই অবস্থায় সকাল করলো যে, সে তার পিতামাতার অবাধ্য হলো, তবে তার জন্য জাহান্নামের দু’টি দরজা খুলে দেয়া হয় আর যদি