Malakul Maut Ke Waqiaat

Book Name:Malakul Maut Ke Waqiaat

পেয়েছিস, কতজনকে পথভ্রষ্ট করেছিস, কতজনকে জাহান্নামে পাঠিয়েছিস, তারা সবাই তোর জন্য জাহান্নামে অপেক্ষা করছে, তোর সময়সীমা শেষ, এখন দৌঁড়! কতদূর দৌঁড়াবে? তখন অভিশপ্ত শয়তান পালানোর মতো কোনো জায়গা পাবে না, সে পাগলের মতো কখনো পূর্ব দিকে যাবে, কখনো পশ্চিমে যাবে, কখনো সাগরে ডুব দিবে কিন্তু সে যেখানেই যাবে, হযরত মালাকুল মউত عَلَیْہِ السَّلَام তার সামনেই থাকবেন। এভাবে সে দৌড়ে হযরত আদম عَلَیْہِ السَّلَام এর মাযারে পৌঁছবে এবং বলবে: হে আদম! তোমার কারণেই আমি বিতাড়িত হলাম, আহ! তোমার যদি জন্মই না হতো।

        اَللهُ اَكْبَرُ কত নিকৃষ্ট! এমন পরিস্থিতিতেও নিজের গুনাহের জন্য অন্যকে দোষারোপ করছে। যাই হোক! এখন সে ছুটে পালিয়ে সেই জায়গায় আসবে যেখানে সে প্রথমবার অভিশপ্ত হয়ে পৃথিবীতে নেমে এসেছিল, এখানে জমিন আগুনের ন্যায় জ্বলতে থাকবে, জাহান্নামীদের তাড়া প্রদানকারী ফেরেশতারা তাকে ঘিরে ফেলবে এবং তাকে কাঁটা বিশিষ্ট শিকল দিয়ে বেঁধে রাখবে, এখন যতদিন আল্লাহ চাইবেন ততদিন সে কষ্ট যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকবে, অতঃপর হযরত আদম ও হাওয়া عَلَیْہِما السَّلَام কে তুলে এনে বলা হবে: হে আদম, হে হাওয়া! এই হলো আপনাদের শত্রু...!! দেখুন সে কেমন শাস্তির মধ্যে লিপ্ত আছে, যখন তারা এই দুর্ভাগা অভিশপ্তকে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখবেন তখন তারা বলবেন: رَبَّنَا قَدْ اَتْمَمْتَ عَلَیْنَا النِّعْمَۃَ হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের শত্রুকে এমন শাস্তি দিয়ে) তুমি তোমার নেয়ামত পূর্ণ করেছো। সর্বোপরি, বিতাড়িত শয়তান মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করে মৃত্যুর ঘাঁটি অতিক্রম করবে।

(তাম্বিহুল গাফেলীন, ঘটনার অধ্যায়, ৩৬০ পৃষ্ঠা)

 

        প্রিয় ইসলামী বোনেরা! চিন্তা করুন! বিতাড়িত শয়তানের মাটি কেমন অপবিত্র হবে, সে কী ভয়ানক শাস্তি ভোগ করবে, এটা তো কেবল মৃত্যু অবস্থার বর্ণনা মাত্র। এই অভিশপ্তকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামে যে শাস্তি প্রদান করা হবে তা কে বর্ণনা করতে পারবে...? এই বিতাড়িত কেনো এই শাস্তি পাবে? কেনো তার এমন করুণ পরিণতি হবে? কারণ এই দূর্ভাগা আল্লাহর নবী হযরত আদম عَلَیْہِ السَّلَام কে অপমান করেছিল, নবীর মোকাবেলায় অহংকার করেছিলো, আল্লাহর অবাধ্য ছিলো, আল্লাহর নির্দেশের সামনে নিজের বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেছিল, যার কারণে তার ভাগ্যে লাঞ্ছনা ও অপদস্থতা জুটলো। আল্লাহ পাক আমাদেরকে অহংকার ও বড়াই করা থেকে হেফাজত করুন, সর্বদা সৎ লোকদের, নবী ও ওলীদের প্রতি  শ্রদ্ধাশীল রাখুন। اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

হযরত মালকুল মউত عَلَیْہِ السَّلَام এর পরিচয়

        প্রিয় ইসলামী বোনেরা! হযরত মালাকুল মউত عَلَیْہِ السَّلَام আল্লাহ পাকের নৈকট্যশীল একজন উচ্চপদস্থ ফেরেশতা, তাঁর পবিত্র নাম হলো আযরাইল (অর্থাৎ আল্লাহর আনুগত্যশীল) তিনি রূ কবয করার কাজে নিয়োজিত এবং বিন্দু পরিমাণও এতে অলসতা করেন না, যার শেষ সময় চলে আসবে, তাকে এক মুহূর্তও অবকাশ না দিয়ে তার রূহকে কবয করে নেন।         আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন: