দিয়েছো, যখন সে আমাকে মৃত্যুবরণ করতে দেখবে তখন সে হাসবে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করলেন: হে আদম! আপনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন এবং আপনার শত্রু শয়তানকে এই পৃথিবীতে কিছু সময়ের জন্য থাকতে হবে, যখন তার সময় শেষ হবে, তখন সে পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের যন্ত্রণার সমান মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করবে। এবার হযরত আদম عَلَیْہِ السَّلَام মালকুল মউত عَلَیْہِ السَّلَام কে জিজ্ঞেসা করলেন: আমাকে  বলুন! শয়তানের মৃত্যু কিভাবে হবে? হযরত মালকুল মউত عَلَیْہِ السَّلَام যখন তাঁকে অভিশপ্ত শয়তানের মৃত্যুর কথা বললেন, তখন তিনি বললেন: رَبِّ حَسْبِی حَسْبِی র্থাৎ হে পরম করুণাময় আল্লাহ! এটাই আমার জন্য যথেষ্ট, আমি এর উপর সন্তুষ্ট। 

        (হযরত কা'বুল আহবার عَلَیْہِ السَّلَام একথা বলে চুপ হয়ে গেলেন) কিন্তু উপস্থিত লোকদের উপর ভয় বিরাজ করছিল, কেউ জিজ্ঞেস করল: হে কা'বুল আহবার رَضِیَ اللهُ عَنْہُ! আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন, শয়তানের মৃত্যু কিভাবে হবে? হযরত কা'বুল আহবার رَضِیَ اللهُ عَنْہُ প্রথমে বলতে অস্বীকৃতি জানালেন, তারপর বললেন: যখন দুনিয়া সমাপ্তির নিকটবর্তী হবে, শিঙ্গায় ফুঁৎকারের সময় খুবই কাছাকাছি হবে। তখন মানুষ বাজারে থাকবে, কেউ পরস্পরের মাঝে কথাবার্তায় মগ্ন থাকবে, কেউ একে অপরের সাথে ঝগড়া করবে, কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকবে এমন সময় হঠাৎ বিকট  আওয়াজ হবে, সেটি শুনে অর্ধেক মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাবে, অতঃপর ৩ দিন পর্যন্ত কোনো হুশ থাকবে না, অবশিষ্ট অর্ধেক মানুষ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে এবং তারা পাগল হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে মানুষের এমন অবস্থা হবে যে, জমিন ও আসমানের মধ্যে বজ্রপাতের মতো বিকট শব্দ ভেসে উঠবে, তারই সাথে সাথে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এটা সেই সময়, যেই সময় পর্যন্ত শয়তানকে অবকাশ দেওয়া হয়েছিল, এখন আল্লাহ পাক হযরত মালকুল মউত عَلَیْہِ السَّلَام কে নির্দেশ দেবেন: হে মালকুল মউত! আমি পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের গণনার সমান তোমার সাহায্যকারী তৈরি করেছি, জমিন ও আসমানের সমস্ত মানুষের শক্তি তোমার মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে, আজ তোমাকে ক্রোধের পোশাক পরিধান করানো হচ্ছে, আজ আমার ক্রোধের সাথে শয়তানের কাছে পৌঁছো এবং তাকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করাও আর আজ পর্যন্ত যতো জ্বিন ও মানুষের উপর মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করেছে, এই সকল কষ্টের চেয়েও অনেক গুণ বেশি যন্ত্রণা এই অভিশপ্তের উপর অর্পন করো।

        সেই সাথে জাহান্নামের দারোয়ানকে জাহান্নামের দরজা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে, অতঃপর হযরত মালকুল মউত عَلَیْہِ السَّلَام শয়তানের কাছে এমন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে আসবেন যে, জমিন ও  আসমানবাসী তার চেহারা দেখে নেয়, তাহলে তারা বরফের ন্যায় গলে যাবে। হযরত মালকুল মউত عَلَیْہِ السَّلَام শয়তানকে তিরস্কার করবেন, তার তিরস্কারের আওয়াজে এত গর্জন হবে যে, যদি  পুর্ব ও পশ্চিমের মানুষ তা শুনে নেয় তাহলে তাদের বিবেক বুদ্ধি কাজ করা বন্ধ হয়ে যাবে। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে শয়তান পালিয়ে যাবে, হযরত মালাকুল মউত عَلَیْہِ السَّلَام বলবেন: হে পাপিষ্ঠ, দাঁড়া! আজ অবধি যাদেরকে তুই পথভ্রষ্ট করে জাহান্নামে পৌঁছিয়েছিস, আজ তাদের সকলের যন্ত্রণার সমপরিমাণ কষ্ট তোকে দেওয়া হবে। তুই কত লম্বা আয়ু