Book Name:Darood o Salam Ke Fazail
হযরত আলী বিন হুসাইন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: عَلَامَةُ أَهْلِ السُّنَةِ كَثْرَةُ الصَّلَاةِ عَلَى رَسُولِ الله অর্থাৎ নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 'র উপর অধিকহারে দরূদ শরীফ পাঠ করা আহলে সুন্নাতের নিদর্শন।
(আল কউলুল বদী, প্রথম অংশ, ফিল আমরি বিস্ সালাতি আলা রাসূলিল্লাহ, ১৩১ পৃষ্ঠা)
الحَمْدُ لله হে আশিকানে রাসূল! আল্লাহ পাকের দয়ায় আশিকানে রাসূল আযানের পূর্বে, আযানের পরে, জুমার নামাযের পর এবং অন্যান্য অনেক সময় দরূদ সালাম পড়েন এবং অনেক সৌভাগ্যবান এমনও রয়েছেন যে, মৃত্যুর সময়ও তাঁদের মুখে দরূদ ও সালামের শব্দাবলি জারি হয়ে যায়।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
দরূদ ও সালামের আদেশের কোন সীমাবদ্ধতা নেই
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অভিশপ্ত শয়তান যেখানে মুসলমানদেরকে অন্যান্য নেক কাজ থেকে বিরত রাখার অপচেষ্টা করে, সেখানে আযানের পূর্বে ও পরে দরূদ ও সালামের ব্যাপারে এবং বিভিন্নভাবে কুমন্ত্রণা দেয়। স্মরণ রাখবেন! আল্লাহ পাক ২২ পারায় সূরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াতে কোন সময়ের সীমাবদ্ধতা ছাড়া ইরশাদ করেন:
"হে ঈমানদারগণ! তাঁর উপর দরূদ ও বেশি বেশি সালাম প্রেরণ করো।" এবং যে বিষয়টি শরীয়তের মধ্যে সীমাবদ্ধতা ব্যতীত বর্ণনা করা হয়েছে, তাতে নিজের পক্ষ থেকে কোন শর্ত (লাগানো) প্রয়োগ করা বৈধ নয়।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বুযুর্গানে দ্বীনগণ আমাদের সহজতার জন্য অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ করার বিভিন্ন সংখ্যা বর্ণনা করেছেন, যদি আমরা সেগুলো হতে কোন সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দরূদ শরীফ পাঠ করাকে নিজের অভ্যাসে পরিণত করে নিই। তাহলে اِنْ شَآءَ الله দরূদ শরীফের অসংখ্য বরকত লাভ হবে। আসুন! এ প্রসঙ্গে বুযুর্গানে দ্বীনের কিছু বাণী শুনি: