$header_html

Book Name:Amad e Mustafa Marhaba Marhaba

শুধু জায়গার পরিবর্তন হয়েছে ঠিক তেমনই আউয়াল আখির (প্রথম শেষ) নবী, রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নূর মোবারকের সৃষ্টি সমস্ত মাখলুকের আগে হয়েছিল দুনিয়ায় আসার আগে তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّمআলমে আরওয়াহ’ (রুহের জগতে) রাসূল ছিলেন এবং সমস্ত নবীদেরকে ফয়েজ (আধ্যাত্মিক করুণা) দান করছিলেন অর্থাৎ, সেই সময়ে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 'আলমে আরওয়াহ' (রুহের জগতে) থেকে আম্বিয়া কেরাম (عَلَیْهِمُ السَّلَام)-এর মাধ্যমে দুনিয়াকে নিজের নূর জ্যোতি দ্বারা আলোকিত করছিলেন এখন তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم স্বয়ং দুনিয়াতে তাশরীফ নিয়ে এলেন এবং সরাসরি দুনিয়াকে আলোকিত (দয়া) করা শুরু করলেন

 

ইমাম বুসেরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন:

فَاِنَّہٗ شَمْسُ فَضْلٍ ہُمْ کَوَاکِبُہَا                                        یُظْہِرْنَ  اَنْوَارَہَا  لِلنَّاسِ  فِی  الظُّلَمٖ

 (দিওয়ানুল বুসিরী, পৃষ্ঠা: ১৬৮)

 

অনুবাদ: অর্থাৎ, প্রিয় নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হলেন মর্যাদার সূর্য, আর বাকি সমস্ত আম্বিয়া কেরাম (عَلَیْهِمُ السَّلَام) সেই সূর্যের তারকা যত নবী তাশরীফ এনেছেন, তাঁরা বাস্তবে (Reality) সেই সিরাজুম মুনীর (অর্থাৎ উজ্জ্বল সূর্য)-এরই আলো দুনিয়াতে ছড়িয়েছেনএর মানে হলো, যেমন সূর্য উদয়ের আগেও সূর্যই থাকে এবং উদয়ের পরেও সূর্যই থাকে, পার্থক্য শুধু এই যে, উদয়ের আগে তারকাদের মাধ্যমে আলো পৌঁছাচ্ছিল এবং উদয়ের পর সরাসরি দুনিয়াকে আলোকিত করতে শুরু করে ঠিক তেমনই আমাদের প্রিয় নবী, صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم প্রথমে


 

 



$footer_html