Book Name:Musibaton Par Sabr Ka Zehen Kaise Banye?
(২) ইরশাদ করেন: যার মাল বা জানে বিপদ এলো, তারপর সে তা লুকিয়ে রাখল এবং মানুষের কাছে প্রকাশ করল না, তাহলে আল্লাহ পাকের উপর (অধিকার) হলো যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
(মাজমাউয যাওয়াইদ,..., ১০/৩৫০, হাদীস:১৭৮৭২, )
পরীক্ষা কষ্ট নয়, রহমত
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! জানা গেল! বিপদ এবং পরীক্ষা আসা কষ্টের কারণ নয়, বরং রহমত ও সৌভাগ্যের কারণ। বিপদে (পতিত) মানুষের সাথে আল্লাহ পাক কল্যাণের ইচ্ছা করেন, বিপদে পতিত ব্যক্তির গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়, পরীক্ষায় পতিত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক (অগণিত) দান করেন এবং বিপদ গোপনকারীকে আল্লাহর দরবার থেকে ক্ষমার (সনদ) (দান) করার সুসংবাদ রয়েছে। বিপদের উপর ধৈর্যধারণের এত ফযীলত শোনার পর তো আমাদের মানসিকতা তৈরি করা উচিত যে, যতই বিপদ আসুক, পরীক্ষার (ঝড়) আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করুক, পেরেশানির (বন্যা) আসুক এবং অসুস্থতা চারদিক থেকে ঘিরে ধরুক, তবুও অভিযোগের (শব্দ) যেন কখনোই মুখে না আসে, বরং এগুলোর উপর ধৈর্যধারণ করে এর বিনিময়ে প্রাপ্ত সওয়াবের কল্পনায় এমনভাবে হারিয়ে যাই যে, কষ্টের অনুভূতিটুকুও বাকি না থাকে। اَلْـحَـمْـدُ لِلّٰهِ বুজুর্গানে দ্বীন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِمْ اَجْمَعِیْن এর পবিত্র জীবন থেকেও আমরা এই মাদানী ফুল পাই যে, যখন তাঁদের উপর কোনো বিপদ আসত, তখন এই হযরতগণ এর উপর ধৈর্যের বিনিময়ে প্রাপ্ত সওয়াবের কল্পনায় এমনভাবে হারিয়ে যেতেন যে, তাঁদের কষ্টের অনুভূতিটুকুও থাকত না এবং এটি এই হযরতগণ বিপদের আগমনের পরেও খুশি থাকতেন। আসুন! (উৎসাহিত) হওয়ার জন্য ৩টি ঈমানদীপ্ত ঘটনা লক্ষ্য করি এবং নিজেদের ধৈর্য ও সন্তুষ্টির (প্রতীক) বানানোর চেষ্টা করি। যেমন: