Book Name:Musibaton Par Sabr Ka Zehen Kaise Banye?
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আপনারা শুনলেন যে, আল্লাহ পাকের প্রিয় নবী হযরত আইয়ুব عَلَیْہِ السَّلَام এর উপর কত কঠিন পরীক্ষা এসেছিল, কিন্তু তিনি عَلَیْہِ السَّلَام কান্নাকাটি, চিৎকার-চেঁচামেচি, অভিযোগ-অনুযোগ, অধৈর্য ও অকৃতজ্ঞতা করার পরিবর্তে ধৈর্য ও সন্তুষ্টির (আঁচল) ধরে রেখেছিলেন এবং রবের সন্তুষ্টির উপর (সন্তুষ্ট) ছিলেন। আফসোস! দ্বীনি ইলম থেকে দূরত্বের কারণে এখন আমাদের সমাজে ধৈর্য ও সহনশীলতার মতো ভালো চিন্তাভাবনার মানুষ খুব কমই দেখা যায় এবং যেন প্রত্যেক দ্বিতীয় ব্যক্তি কোনো না কোনো দিক থেকে অধৈর্যতায় আক্রান্ত (মনে হয়)। যেমন: দ্বীনি ইলম থেকে দূরত্বের কারণে (যুবক) ছেলে বা মেয়ের মৃত্যুতে হয়তো এতটাই অধৈর্যতা দেখানো হয় যে, (আল্লাহর পানাহ) কুফরি কথাবার্তা পর্যন্ত বলে ফেলা হয়।
Ø অপারেশন (Operation) (করানো হলো) কিন্তু ব্যর্থ হলো তো অধৈর্য।
Ø অসুখ আসল তো অধৈর্য।
Ø কারো কোনো জিনিস হারিয়ে গেল তো অধৈর্য।
Ø বিদ্যুৎ চলে গেল তো অধৈর্য।
Ø পানি বন্ধ হয়ে গেল তো অধৈর্য।
Ø জেনারেটর (নষ্ট) হয়ে গেল তো অধৈর্য।
Ø কাস্টমার (কম) হয়ে গেল তো অধৈর্য।
Ø ট্র্যাফিক জ্যাম হয়ে গেল তো অধৈর্য।
Ø গরম বা ঠান্ডা বেড়ে গেল তো অধৈর্য।
Ø বয়ান করার বা নাত পড়ার সুযোগ দেওয়া হলো না তো অধৈর্য।
Ø কেউ মন খারাপ করে দিল তো অধৈর্য।
Ø ভালো বাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না তো অধৈর্য।
Ø মোবাইলের সিগন্যাল আসছে না বা ইন্টারনেট চলছে না তো অধৈর্য।