Book Name:Gaflat Ka Anjam
ভালো ভালো নিয়্যত করে নিন! যেমন; নিয়্যত করুন! * ইলমে দ্বীন শেখার জন্য সম্পূর্ণ বয়ান শুনবো * আদব সহকারে বসবো * বয়ান চলাকালীন উদাসীনতা থেকে বেঁচে থাকবো
* নিজের সংশোধনের জন্য বয়ান শুনবো * যা শুনবো অপরের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
কূফার কাযী মুহাম্মদ বিন গাসান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: কুরবানির ঈদের দিন আমি আমার আম্মাজানের খেদমতে উপস্থিত ছিলাম,তখন আমি সেখানে পুরনো ছেড়া কাপড় পরিহিতা এক বৃদ্ধা মহিলাকে দেখলাম। তাঁর কথা বলার ধরন আমার খুব ভালো লাগল। আমি আমার আম্মাজানের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম: কে এই মহিলা? তিনি বললেন, তিনি তোমার খালা আনিয়া, যিনি হারুনুর রশিদের মন্ত্রী জাফর বিন ইয়াহইয়া বর মক্কীর মা। আমি তাকে সালাম দিলাম, তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন, আমি তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম তাঁর এই অবস্থা কিভাবে হল? তিনি বললেন: বৎস! আমরা উদাসীনতার জীবন অতিবাহিত করেছি এবং সময় নষ্ট করার মধ্যে লেগে ছিলাম, তাই যুগ আমাদের প্রতি বিরাগ হল। আমি বললাম: আপনার শান মর্যাদার কোন ঘটনা শুনান, বলতে লাগলেন: অবশ্যই, একটি ছোট্ট ঘটনা শোনাচ্ছি, এটা থেকে আমার শান মর্যাদার অনুমান করে নিও। আজ থেকে তিন বছর পূর্বে কুরবানি ঈদ উপলক্ষে আমার নিকট চারশত ওড়না ছিল। আমার ছেলে প্রথা অনুসারে আমার নিকট এক হাজার চারশ ছাগলের মাথা এবং তিনশ ষাড়ের মাথা পাঠায়। এগুলো ছাড়াও স্বর্ণালংকার পোশাক ইত্যাদি ছিল, এতদাসত্বেও আমার মনে হত যে, আমার ছেলে অবাধ্য, আর আজ এই অবস্থা যে, আমি তোমাদের নিকট দুটি ছাগলের চামড়া নিতে এসেছি যাতে সেগুলি দিয়ে পোশাক বানাতে পারি। কাযী সাহেব বললেন: তাদের পতনের ইতিহাস শুনে আমি খুবই দুঃখ পেলাম এবং আমার চোখ থেকে অশ্রু বের হয়ে গেল। ওই মুহূর্তে আমার নিকট যা দীনার ছিল আমি তাকে তা তোহফা দিয়ে দিলাম। (বাহরুদ দুমুয়ী, ১০৫ পৃষ্ঠা)