Book Name:Gaflat Ka Anjam
বিভিন্ন দেশে তো সফর করে কিন্তু কিছু কদম দূরত্বে মসজিদে যাওয়া হতে এড়িয়ে চলে। নিজের ঘরের ডেকুরেশনের (Decoration) জন্য পানির মত টাকা ভাসিয়ে দেয় কিন্তু আল্লাহর রাস্তায় খরচ করতে বিভিন্ন বাহানা করে, এমনকি কিছু লোকের উপর যাকাত ফরজ হওয়া সত্বেও যাকাতা আদায় করে না, সম্পদ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয় কিন্তু নেকীর বরকতের ব্যাপারে অলসতায় থাকে। মনে রাখবেন! এখনই সময় উদাসীনতা থেকে জাগ্রত হয়ে তাড়াতাড়ি তাওবা করে নিন, কখনো না এমন হয়ে যায় যে, মৃত্যু হঠাৎ উজ্জল আলোকিত কক্ষ আরামদায়ক বিছানা থেকে উঠিয়ে পোকা মাকড়ে ভরপুর অন্ধকার কবরে শুইয়ে দিবে এবং চিৎকার করতে থাকবে যে, হে মালিক! আমাকে আরেকবার দুনিয়াতে পাঠিয়ে দাও, সেখানে গিয়ে তোমার খুব ইবাদত করব এবং আমার সমস্ত সম্পদ তোমার রাস্তায় দান করে দেব। পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামায়াত সহকারে মসজিদের প্রথম কাতারে তাকবীরে উলার সাথে আদায় করব। মনে রাখবেন! ওই সময় চিৎকার চেঁচামেচিতে কোন উপকার হবে না কারণ কুরআনে পাকে এই ব্যাপারে পূর্বে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। অতঃপর ২৮ পারার সূরা মুনাফিকুনের ১০-১১ নং আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ
اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰکُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَکُمُ الْمَوْتُ
فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیْبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَکُنْ مِّنَ
الصّٰلِحِیْنَ (۱۰)
وَ لَنْ یُّؤَخِّرَ اللّٰہُ نَفْسًا اِذَا جَآءَ اَجَلُہَا ؕ
وَ اللّٰہُ خَبِیْرٌۢ بِمَا تَعْمَلُوْنَ
(পারা: ২৮, সূরা: মুনাফিকুন, আয়াত: ১০-১১) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: আর আমার প্রদত্ত (রিযিক) থেকে কিছু আমার পথে ব্যয় কর এরই পূর্বে যে, তোমাদের মধ্যে কারো নিকট মৃত্যু এসে পড়বে। অতঃপর বলতে থাকবে, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে কিছু সময়ের জন্য অবকাশ দিলে না? যাতে আমি দান সদকা করতাম এবং সৎকর্ম পরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। আর কখনো আল্লাহ পাক কোন প্রাণকে অবকাশ দেবেন না যখন তার প্রতিশ্রুতি (নির্ধারিত সময়) এসে পড়বে এবং তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ খবর রাখেন।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেল যে, মৃত্যুর সময় মানুষ উদাসীনতা থেকে জাগ্রত হয়ে যায় আর সে ওই সময় খুবই আফসোস করে যে, আমি সামান্য সুযোগ