Maa Ki Dua Ka Asar

Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

    سُبْحٰنَ الله! আপনারা শুনলেন তো! আল্লাহ পাক মায়ের দোয়ায় কিরূপ প্রভাব রেখেছেন যে, মা যখন তার সন্তানের জন্য দোয়া করেন তখন রব তায়ালা তার উঠানো হাতের সম্মান রাখেন এবং সন্তানের জন্য তার দোয়া কবুল করে নেন, এমনকি মায়ের অন্তর থেকে বের হওয়া দোয়ার বরকতে আল্লাহ পাক সন্তান থেকে বিপদাপদ এবং পরীক্ষাকে দূর করে দেন। আর কতইনা সৌভাগ্যবান সেই লোকেরা, যাদের পিতামাতা জীবিত এবং তাদের উপর সন্তুষ্ট আর কিরূপ সৌভাগ্যবান ঐ সন্তান, যে তার পিতামাতার সহায় হয়, তাদের সেবা করে, তাদের দোয়া নেয় এবং আল্লাহ পাকর সন্তুষ্টির অধিকারী হয়, সুতরাং যদি আমরা চাই যে, আল্লাহ পাক আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকুক, রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাদের প্রতি খুশি হয়ে যাক, আমাদের পিতামাতা আমাদের জন্যও দোয়া করুক, তবে আমাদের উচিৎ আমাদের পিতামাতাকে গুরুত্ব দেয়া, তাদের অনুগ্রহকে স্মরণ রাখা, তাদের স্বভাব বিরোধী কথা বলা থেকে বিরত থাকা, সব কিছুতেই তাদের খেয়াল রাখা, তাদের সাথে সদাচরণ করা, তাদের জায়িয প্রয়োজনাদী পূরণ করা, তাদের সকল জায়িয আদেশ পালন করা, বিশেষ করে যখন পিতামাতা বৃদ্ধ হয়ে যায়, এসময় তাদের সন্তানের সহানুভুতির অনেক বেশী প্রয়োজন হয়ে থাকে, কেননা বৃদ্ধ বয়সে তাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অক্ষম হয়ে যায়, শরীরে রোগ ভর করে থাকে এবং আপনও পর হয়ে যায়। পিতামাতার বার্ধক্য মানুষকে পরীক্ষায় ফেলে দেয়, অনেক সময় পিতামাতা বার্ধক্যে প্রস্রাব ও পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়, যার কারণে সাধারণত সন্তানরা বিরক্ত হয়ে যায়, কিন্তু মনে রাখবেন! এমতাবস্থায়ও পিতামাতার সেবা করা আবশ্যক। শিশুকালে মাও তো সন্তানের ময়লা আবর্জনা সহ্য করতো। সুতরাং বার্ধক্য এবং অসুস্থতার কারণে পিতামাতার স্বভাব যতই খিটখিটে হয়ে যাক না কেন, অযথা বকবক করুক না কেন, চাই যতই ঝগড়া এবং পেরেশানি করুক না কেন, ধৈর্য ধৈর্য এবং ধৈর্যই ধারন করতে হবে এবং তাদের সম্মান বজায় রাখা আবশ্যক। জি হ্যাঁ! এটিই হলো পরীক্ষা, পিতামাতার সাথে অসদাচরন করা এবং তাদের ধমক দেয়া ইত্যাদি তো দূরের কথা তাদের সামনে উফ পর্যন্ত করা উচিৎ নয়, নয়তো সফলতা হাত থেকে বের হয়ে যেতে