Book Name:Gaflat Ka Anjam
কারণে সে আরাম আয়েশের কল্পনায় বিভোর হয়ে ওই রাতে আল্লাহ পাকের ধ্যান থেকে সম্পূর্ণরূপে উদাসীন হয়ে গেল, ভোরবেলা এই সমস্ত কল্পনা করতে করতে ঘর থেকে বের হয়ে, পড়লো। ঘটনাক্রমে তিনি এক কবরস্থানের পাশ দিয়ে তাকে অতিক্রম করতে লাগলেন, তিনি দেখলেন এক ব্যক্তি ইট বানানোর জন্য একটি কবরের মাটি খনন করছিল, এই দৃশ্য দেখে তার চোখ থেকে অলসতার পর্দা সরে গেল এবং এই কল্পনায় তার চোখ থেকে অশ্রু বের হয়ে গেল যে, সম্ভবত মৃত্যুর পর আমার কবরের মাটি থেকে লোকেরা ইট বানাবে, হায়! আমার জাকজমকপূর্ণ সুউচ্চ অট্টালিকা ও উন্নত মানের পোশাক পরিচ্ছেদ ইত্যাদি সবই এখানে স্ব স্ব স্থানে পড়ে থাকব। সুতরাং স্বর্ণের ইটের প্রতি মন লাগানোটা হলো জীবনকে সরাসরি উদাসীনতার মধ্যে গণনা করা, তবে হ্যাঁ, যদি মন লাগাতে হয় তবে আমাকে আমার প্রিয় আল্লাহ পাকের প্রতি লাগানো উচিত, অতঃপর তিনি স্বর্ণের ইট ফেলে দিয়ে অল্পেতুষ্ট থাকাকে বেছে নিলেন। (পুস্তিকাঃ উদাসীনতা,৪-৫)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বাস্তবিকই ধন-সম্পদ এমন জিনিস যেটা মানুষকে আল্লাহ পাক থেকে উদাসীন করে দেয়। এই ঘটনায় সব সময় ধন সম্পদের লালসায় (Greed) নিমজ্জিত ব্যক্তিরা, সম্পদ সঞ্চয়ের আকাঙ্ক্ষায় হালাল হারামে পার্থক্য ভুলে যাওয়া ব্যক্তিরা, এবং শুধুমাত্র ধন সম্পদে জীবনের সুখ অন্বেষণকারীদের জন্য শিক্ষায় শিক্ষা। মনে রাখবেন! সম্পদের মাধ্যমে ঔষধ তো কেনা যায় কিন্তু আরোগ্য নয়। সম্পদের মাধ্যমে বন্ধু তো পাওয়া ঠিক কিন্তু আস্থা নয়। সম্পদের মাধ্যমে ভালো জীবন তো অতিবাহিত করা যায় কিন্তু এর মাধ্যমে মৃত্যু অস্বীকার করা যায় না। সম্পদের মাধ্যমে খ্যাতি লাভ করা যায় কিন্তু সম্মান নয়। সম্পদের মাধ্যমে ভালো ঘর,গাড়ি এবং উন্নত মানের পোশাক তো কেনা যায় কিন্তু সেটাকে ভুল কাজে ব্যবহার করে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি এবং তাঁর হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর শাফায়াতের অধিকারী হওয়া যায় না। মনে রাখবেন! প্রত্যেক কঠিন কাজকে সহজ করার জন্য হয়ত আমাদের সম্পদ কাজে আসতে পারে কিন্তু আমাদের মন্দ আমলের কারণে কবরে যদি আজাব দেওয়া হয় তবে ঐখানে কি এইসম্পদ কাজ আসবে? মুনকার নাকীরের প্রশ্নোত্তর দিতে না পারলে ওই সময়ও কি আমরা আমাদের সম্পদ দ্বারা উপকৃত হতে পারবো? কবরে সাপ বিচ্ছু দংশন করলে তখন আমাদের সম্পদ তাদের