Namaz Ki Ahmiyat

Book Name:Namaz Ki Ahmiyat

    বর্ণিত রয়েছে যে, এক ব্যক্তি জঙ্গল (Jungle) দিয়ে যাচ্ছিলো, শয়তানও তার পিছু নিলো, সেই ব্যক্তি দিনভর এক ওয়াক্ত নামাযও পড়লো না এমনকি রাত হয়ে গেলো, শয়তান তার নিকট থেকে পালাতে লাগলো, সেই ব্যক্তি আশ্চর্য হয়ে পালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে শয়তান বললো: আমি জীবনে শুধু একবার আদম عَلَیْہِ السَّلَام কে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিলাম তাই তিরস্কৃত হলাম আর তুমি আজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযই বর্জন করে দিলে, আমার ভয় হয় যে, কখন না তোমার উপর কহর অবতীর্ণ হয় এবং আমিও এতে ফেঁসে যাই(দুররাতুন নাসিহীন, ১৪৪ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদেরও নামাযের নিয়মানুবর্তিতা রক্ষা করে পাঁচ ওয়াক্ত নামায মসজিদের প্রথম সারিতে তাকবীরে উলার সাথে জামাআত সহকারে আদায় করা উচিৎ আসুন! আল্লাহ পাকের আযাবের প্রতি নিজেকে ভীত করতে এবং নামাযের অভ্যাস গড়তে নামায না পড়ার ৪টি শাস্তি সম্পর্কে শ্রবণ করি

() হযরত আবু দারদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আমার প্রিয় বন্ধু রাসূলে করিম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে উপদেশ দিয়েছেন যে, “কাউকেও আল্লাহ পাকের অংশীদার বানাবে না, যদিও তোমাকে টুকরো টুকরো করে দেয়া হয় বা জ্বালিয়ে দেয়া হয়, ফরয নামায জেনে শুনে বর্জন করো না কেননা যে জেনে শুনে নামায বর্জন করে দেয় তার থেকে নিরাপত্তা উঠিয়ে নেয়া হয় এবং কখনো মদ পান করো না কেননা এটি সকল মন্দের মূল (ইবনে মাজাহ, আবওয়াবুল আশরাবা, হাদীস নং-৪০৩৪, /৩৭৬ পৃষ্ঠা)

() ইরশাদ হচ্ছে: যে নামায ছেড়ে দিলো তবে সে আল্লাহ পাকের সাথে এই অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, তিনি তার প্রতি গযব অবতরণ করবেন (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, কিতাবুস সালাত, হাদীস নং-১৬৩২, /২৬)