Yaad e Ilahi Aur Is Kay Tarika

Book Name:Yaad e Ilahi Aur Is Kay Tarika

পাশাপাশি আরও একটি কাজ করতাম, তা হলো প্রতিটি নামাযের পর কিছু না কিছু আল্লাহ পাকের যিকির করার অভ্যাস করে নিতাম, যেমন প্রত্যেক নামাযের পর তাসবীহে ফাতেমা (অর্থাৎ ৩৩ বার سُبْحٰنَ الله, ৩৩ বার اَلْحَمْدُ لِلّٰه, এবং ৩৪ বার اَللهُ اَكْبَرُ) পাঠ করে নিতাম, সূরা ইখলাস পাঠ করতাম, আয়াতুল কুরসি পড়ে নিতাম, যদি নসীব হয়! প্রত্যেক নামাযের পর কমপক্ষে একশতবার দরূদে পাক পাঠ করার অভ্যাস করে নিতাম এইভাবে দিনের কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ আল্লাহ পাকের যিকিরের মধ্যে অতিবাহিত করতাম * দিন রাতে ২টি সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, একটি হলো ফজরের পর সময়টা, দ্বিতীয়টি হলো আসরের পরের সময়টা, আল্লাহ পাক এই সময়ে যিকির করার বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন, যেমন ইরশাদ হচ্ছে:

وَ سَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ قَبۡلَ طُلُوۡعِ الشَّمۡسِ وَ قَبۡلَ غُرُوۡبِہَا

(পারা ১৬, সূরা ত্বহা, আয়াত: ১৩০)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর আপন প্রতিপালকের প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং তা অস্তমিত হবার পূর্বে

    সুতরাং এই সময়ে বিশেষভাবে কিছু যিকির আযকার নির্ধারণ করুন, যেমন তিলাওয়াতে কুরআনের অভ্যাস বানিয়ে নিন, হোক নিজের পীর সাহেবের দেয়া শাজারা শরীফ থেকে অথবা অন্য কোন দোয়া ওযীফা পাঠ করে নিন * একইভাবে মাগরিব এশার মধ্যবর্তী সময়ও অনেক মূল্যবান, ঐসময় যিকির করা, নামায পড়া মুস্তাহাব, সুতরাং মাগরিবের পর আওয়াবিনের নফল আদায় করুন * একইভাবে রাতে অযু করে ঘুমান, বিছানায় আসার পূর্বে অথবা বিছানায় শুয়ে কিছু আল্লাহ পাকের যিকির করে নিন, তাসবীহে ফাতেমা পড়ে নিন, সূরা ইখলাস পড়ে নিন, সূরা ফাতেহা আয়াতুল কুরসি পড়ে নিন হাদীসে পাকে রয়েছে: অযু করে বিছানায় শুয়ে, আল্লাহ পাকের যিকির করতে থাকে, এই পর্যন্ত যে ঘুম এসে যায়, রাতে যখনই কোন দোয়া করবে, আল্লাহ পাক তার দোয়া কবুল করবেন * অতঃপর যখনই ঘুম থেকে জাগ্রত হবে তখন যেন দোয়া পাঠ করে * এইভাবে দিনে রাতে করা বিভিন্ন কার্যাদি যেমন ঘরে আসা যাওয়াতে, খাবার খেতে, কাপড় পরিধান করতে ইত্যাদির দোয়া মুখস্থ করে রাখা, এবং সেগুলো পড়তে থাকা