Book Name:Yaad e Ilahi Aur Is Kay Tarika
দিনেই নয় বরং রাতের বেলায়ও দোয়া ও যিকরে ইলাহীতে মগ্ন থাকতেন * এই পর্যন্ত যে ওফাতের সময়ও রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র যবান মোবারকে দোয়া জারী ছিলো। (সীরতে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم, ৫৯৮ পৃষ্ঠা)
سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী বোনেরা! মুখকে আল্লাহ পাকের যিকির দ্বারা সতেজ রাখুন, অহেতুক কথাবার্তা থেকে বেঁচে থেকে আল্লাহ পাকের যিকিরের মধ্যে মশগুল থাকাও সুন্নাত। আল্লাহ পাক আমাদেরকে অবশিষ্ট সুন্নাতে মোবারকার পাশাপাশি এই পবিত্র সুন্নাত আদায় করারও তাওফিক দান করুন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
অধিকহারে আল্লাহ পাকের যিকিরকারীদের সংক্ষিপ্ত ঘটনা
سُبْحٰنَ الله! আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন (অর্থাৎ আল্লাহ পাকের নেককার বান্দাগণ) ও অধিকহারে আল্লাহ পাকের যিকির করতেন, মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা হযরত আলীউল মুরতাদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: সাহাবায়ে কেরাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ ’র মোবারক স্বভাব ছিলো যে আল্লাহ পাকের যিকির শুনে এমনভাবে আন্দোলিত হতেন যেমনিভাবে প্রবল বাতাসের মধ্যে একটি গাছ আন্দোলিত থাকে এবং আল্লাহ পাকের স্মরণে তাঁদের অশ্রু প্রবাহিত হতো। (জামেউল উলুম ওয়াল হিকম, পৃষ্ঠা ৪৫৫) সাহাবিয়ে রাসূল হযরত আবু হুরাইরা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ’র কাছে একটি সুতো ছিলো তিনি সেটাতে একহাজার গিঁট লাগিয়ে রেখেছিলেন, তিনি ততক্ষণ পর্যন্ত ঘুমাতেন না, যতক্ষণ না (ঐ তাসবীহের ন্যায়) সুতোর মাধ্যমের আল্লাহ পাকের যিকির করে নিতেন না। হযরত খালিদ বিন মা’দান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তিলাওয়াতে কুরআনের পাশাপাশি সারাদিনে ৪০ হাজার বার তাসবীহ পাঠ করতেন, যখন তাঁর ইন্তেকাল হয়, তাঁকে গোসল দেয়ার জন্য খাটে শুয়ানো হলো ঐসময়ও তাঁর আঙ্গুদ্বয় নড়াচড়া করছিলো (মূলত তিনি ঐসময় আঙ্গুলে গণনার মাধ্যমে যিকির করছিলেন)। হযরত উমাইর বিন হানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِকে জিজ্ঞাসা করা হলো, তাঁর মুখ কখনো (আল্লাহ পাকের যিকির থেকে) থেমে থাকতো না, তিনি প্রতিদিন কি পরিমাণ তাসবীহ পাঠ করতেন? বললেন: ১ লাখ।
(জামেউল উলুম, ৪৫৩, ৪৫৪ পৃষ্ঠা)
হযরত আবু আব্দুর রহমান সুলামী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একজন আল্লাহর অলি ছিলো, তিনি অধিকহারে الله, الله পাঠ করতেন, একবার তাঁর মাথায় কোন জিনিসে লাগল, মাথা