Book Name:Hazrat Talha Bin Ubaid Ullah
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আপনারা শুনলেন তো! নিশ্চিত জান্নাতী হওয়া সত্ত্বেও ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হাদীস বর্ণনা করা ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেন। অথচ তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সফর ও আবাস উভয়ের মধ্যে রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দীর্ঘদিনের সাহচর্যের সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। তিনি চাইলে নিজেই হাদীসে মোবারকা বর্ণনা করতে পারতেন কিন্তু সাহাবীগণের শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি অন্য জ্ঞানী ব্যক্তির নিকট পাঠিয়ে দিলেন। বর্ণিত ঘটনা থেকে যেখানে এটা জানা গেলো যে, খরগোশের মাংস খাওয়া সাহাবাগণ رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ থেকে প্রমাণিত। সেখানে এটাও জানা গেলো যে, যদি আমরা কোন বিষয় সঠিকভাবে না জানি অথবা জানা রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে সন্দেহ রয়েছে বা আমাদের অবস্থা এমন যে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না, তাহলে প্রশ্নকারী অর্থাৎ যে ব্যক্তি প্রশ্ন করেছেন তাকে কোন একজন বিশুদ্ধ আকিদা সম্পন্ন সুন্নি আলিম বা মুফতি সাহাবের কাছে পাঠিয়ে দিব যাতে সে সঠিক দিক নির্দেশনা পায়। বিশেষ করে কুরআন ও সুন্নাহর আহকামের ব্যাপারে সতর্কতা অনেক জরুরী। নিজে কোন উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে আলিম ও মুফতির কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিন, এতেই দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। নিজ অনুমানের ভিত্তিতে যাচাই করা ব্যতিত কাউকে শরয়ী মাসআলা বলার ক্ষেত্রে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করুন। আল্লাহ না করুক ভূল মাসআলা বলে দিলো আর সে এর উপর আমল করে নিলো এমনকি সে তা প্রচারও করলো তখন হতে পারে যে তাদের সকল গুনাহ আমাদের কাধে এসে যাবে।
اَلْحَمْدُ لِلّٰه দাওয়াতে ইসলামীর অধিনে চলমান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ দারুল ইফতা আহলে সুন্নাত, দিনের পর দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এই সময় দারুল ইফতা আহলে সুন্নাতের সাথে সম্পৃক্ত মুফতিগণ ও অন্যান্য উলামায়ে কেরামগণের লিখিত ফতোওয়া,ন্যাসনাল ও ইন্টার ন্যাসনাল ফোন নম্বর, ওয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) ওয়েব সাইট, ই-মেইল, চিঠিপত্রের উত্তর, তরবিয়তি ইজতিমা সমূহ, মাদানী চ্যানেল, মাদানী মিটিং, কিতাব ও পুক্তিকার লেখা ও গবেষণা এবং প্রশ্নকারীদের সাথে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে মুসলমানদের শরয়ী দিক নির্দেশনায় নিযুক্ত রয়েছেন। আসুন! এর কিছু ঝলক শুনি।