Maa Ki Dua Ka Asar

Book Name:Maa Ki Dua Ka Asar

জন্য দয়া অনুগ্রহের প্রার্থনা করা এবং আরয করা যে, হে প্রতিপালক! আমার সেবা তো তাঁদের অনুগ্রহের বিনিময় হতে পারেনা; তুমিই তাদের উপর দয়া করো, যেনো তা তাঁদের অনুগ্রহের বিনিময় হয়

    ১ম পারা সূরা বাকারার ৮৩ নং আয়াতের আলোকে বলেন: পিতামাতার সাথে সদাচরণের যে পদ্ধতি প্রচলিত তা হলো: () অকপট চিত্তে অর্থাৎ সত্য অন্তরে তাঁদের প্রতি ভালবাসা পোষণ করা, () চাল-চলন, কথা-বার্তা উঠা-বসায় আদব বজায় রাখাকে অত্যাবশ্যকীয় মনে করা, () তাঁদের শানে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করা, () তাঁদেরকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে থাকা, () স্বীয় উৎকৃষ্ট বস্তু তাঁদের থেকে গোপন করো না, () তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের ওসীয়ত পূর্ণ করা, () তাঁদের জন্য ফাতেহাখানি, দান-খয়রাত এবং কুরআন মজীদ তিলাওয়াত দ্বারা ইসালে সাওয়াব করা, () আল্লাহ পাকের দরবারে তাঁদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা, () প্রতি সপ্তাহে তাঁদের কবর যিয়ারত করা, (১০) পিতামাতার সাথে সদাচরণের মধ্যে এটাও রয়েছে যে, যদি তাঁরা কোন গুনাহে অভ্যস্থ হন কিংবা বদ মাযহাবের (ভ্রান্ত আক্বীদা পোষণকারী) শিকার হয়ে পরেন তবে তাঁদেরকে অতীব নম্রতা বিনয় সহকারে সংশোধন, খোদাভীতি এবং সঠিক আক্বীদার দিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকুন মোটকথা যদি সারা জীবন পিতামাতার সেবা করা হয় তবুও তাঁদের অনুগ্রহের বিনিময় হতে পারেনা

(খাযায়িনুল ইরফান, ৩৩ পৃষ্ঠা, ১ম পারা, সূরা বাকারা, ৮৩ নং আয়াতের পাদটিকা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যেমনিভাবে কুরআনে পাকে পিতামাতার সম্মান আদব করার উৎসাহ দেয়া হয়েছে, তেমনিভাবে হাদীসে মোবারাকায়ও অসংখ্য স্থানে পিতামাতার আনুগত্য বাধ্য হওয়ার আদেশ এবং তাঁদের শান মহত্বকে বর্ণনা করা হয়েছে আসুন! উৎসাহ গ্রহনার্থে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর চারটি বাণী শ্রবণ করি:

(১)  ইরশাদ হচ্ছে: যখন সন্তান তার পিতামাতার দিকে দয়ার দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তখন আল্লাহ পাক তার জন্য প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে কবুলকৃত হজ্বের সাওয়াব লিখে দেন। সাহাবায়ে কিরাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ আরয করলেন: যদিওবা দিনে ১০০ বার দৃষ্টি নিক্ষেপ