Sura Fatiah Fazail Aur Ramzan

Book Name:Sura Fatiah Fazail Aur Ramzan

জানা গেলো, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم খেদমতের হুকুম স্বাভাবিক অবস্থা থেকে ভিন্ন। দেখুন! নামাযের সময় কারো সাথে কথা বললে, কাউকে সম্বোধন করে সালাম দিলে, এতে নামায ভেঙ্গে যায়, কিন্তু খেয়াল করে দেখুন! যখন আমরা আত্তাহিয়্যাত পাঠ করি, তখন নামাযরত অবস্থায় প্রিয় নবী, হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে সম্বোধন করে তার খেদমতে সালাম পেশ করি, اَلسَّلَامُ عَلَیْکَ اَیُّہَا النَّبِیُّ এই সালাম দ্বারা নামায ভঙ্গ হয় না বরং নামায পরিপূর্ণ হয়। (মিরাতুল মানাজিহ, ৩/২২৪) কেননা নামাযের মধ্যে আত্তাহিয়াত পড়া ওয়াজিব।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

সূরা ফাতিহা সর্বোত্তম সূরা হওয়ার অর্থ

          হে আশিকানে রাসূল! উল্লেখিত হাদীস থেকে এটা জানা যায় যে, সূরা ফাতিহা পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠতম সূরা। এখানে এ বিষয়টি ভালোভাবে মনে রাখতে হবে যে, সমগ্র কুরআনই মহান আল্লাহর বাণী, তাই এক্ষেত্রে সমগ্র কুরআনই উত্তম। যখন বলা হয় যে অমুক-অমুক সূরা বা অমুক-অমুক আয়াত অধিক ফযীলত পূর্ণ, তখন এর দুটি অর্থ হয়: (১) এই সূরাটি (যেমন, সূরা ফাতিহা) পড়ার সাওয়াব বেশি (২) দ্বিতীয়ত এই সূরাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য সূরার চেয়ে অধিক উচ্চতর। উদাহরণ স্বরূপ, সূরা লাহাবে অমুসলিম আবু লাহাবের আলোচনা এবং সূরা ইখলাসে আল্লাহর একত্ববাদের আলোচনা করা হয়েছে। এটি সাধারণ ভাবে বোঝা যায় যে, আবু লাহাবের মতো অমুসলিমের আলোচনা করা এবং আল্লাহর একত্ববাদের আলোচনা করার মধ্যে আসমান -জমিনের পার্থক্য। এমনিতে তো সূরা লাহাবও আল্লাহর বাণী, সূরা ইখলাসও আল্লাহর বাণী। এই ক্ষেত্রে উভয় সূরা সমান, কিন্তু আলোচ্য বিষয়ের দিক থেকে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। একই ভাবে, বিষয়বস্তুর দিক থেকে সূরা ফাতিহা পবিত্র কুরআনের অন্য সব সূরার চেয়ে বেশি ফযিলতপূর্ণ

(তাফসীরে ফাতিহা, ৩৮ পৃষ্ঠা)

সূরা ফাতিহার পরিচিতি

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! সূরা ফাতিহা কুরআনুল করীমের একটি সংক্ষিপ্ত সূরা। এতে একটি রুকু, সাতটি আয়াত, ২৭ টি শব্দ এবং ১৪০ টি বর্ণ রয়েছে। ইমাম মুজাহিদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন, সূরা ফাতিহা মদীনা শরীফে অবতীর্ণ হয়েছে, অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, সূরা ফাতিহা দুবার অবতীর্ণ হয়েছে তন্মধ্যে একবার মক্কা শরীফে আরেক বার মদীনা শরীফে।

(তাফসীরে সিরাতুল জিনান ১ম পারা সূরা ফাতিহা, ১/৩৭ পৃষ্ঠা)

 

শয়তান চিৎকার করে কাঁদলো

          ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বর্ণনা করেন, ইবলিস (অর্থাৎ শয়তান) ৪ বার চিৎকার করে কেঁদেছে: (১): প্রথম বার যখন তাকে অভিশপ্ত করা হলো (২) দ্বিতীয় বার যখন তাকে জমিনে নামানো হলো (৩) তৃতীয় বার যখন আল্লাহ পাকের শেষ নবী, হুযুর পূরনূর
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নবুওয়াত ঘোষণা করেন (৪) এবং চতুর্থ বার যখন সূরা ফাতিহা নাযিল হলো। ইমাম মুজাহিদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যখন সূরা ফাতিহা নাযিল হয়, তখন ইবলীস (অর্থাৎ শয়তান) অত্যন্ত কষ্টে পড়ে গেলো এবং চিৎকার করে কান্নাকাটি করলো। (তাফসীরে দুররে মনসুর, ১ম পারা, সূরা ফাতিহা, ১/১৭ পৃষ্ঠা)