Book Name:Yaad e Ilahi Aur Is Kay Tarika
যেটাতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, তোমার যিকিরে তো অনেক স্বাদ। আল্লাহ পাক ইরশাদ করলেন: মূসা! এটাতো আপনার উপর দয়া যে আপনি আমার যিকিরের স্বাদ অনূভব করতে পারছেন, আর না হয় ফিরআউনকে দেখুন! সে তার মুকুট ও সিংহাসন, শক্তি ও বাদশাহী সবকিছু বরবাদ করে দিয়েছে, সমুদ্রে ডুবে যাওয়া তো গ্রহন করে নিয়েছে কিন্তু একবারও আমার নাম নিজের মুখে নিতে রাজি হলো না।
(সাবআ সানাবিল, ২৬০ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বুঝা গেলো, আল্লাহ পাকের যিকিরের ফযীলত অনেক রয়েছে তবে এটার পাশাপাশি আল্লাহ পাকের যিকির পরিশম সম্পন্ন ইবাদতও বটে, যদি আমরা আল্লাহ পাকের যিকিরের অভ্যাস করতে চায় তবে সেটার জন্য আমাদেরকে অনেককিছু বর্জন করতে হবে * অহেতুক কথাবার্তা থেকে আমাদের মুখ হেফাযত করতে হবে * মন্দ স্বভাবও ছাড়তে হবে * সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার শুধুমাত্র প্রয়োজন সাপেক্ষে করতে হবে, এরকম সব অহেতুক কার্যাদি পরিহার করতে হবে, তখনই আল্লাহ পাকের যিকিরের দিকে মনোযোগ থাকবে, অতঃপর যেকোন জায়গায় গিয়ে সর্বদা যিকির আযকারে মশগুল থাকা যাবে।
اَلْحَمْدُ لِلّٰه! শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ নেকী অর্জনে খুবই আগ্রহী, একবার তিনি পাগড়ী বাঁধছিলেন, এর মধ্যে তাঁর মুখ নড়াচড়া করছিলো, জিজ্ঞাসা করাতে বললেন: আমি الله! الله! পাঠ করছিলাম, যাতে পাগড়ী পরিধানের পাশাপাশি আল্লাহ পাকের যিকিরও হয়ে যায়। শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ একবার মাদানী মুযাকারায় বললেন: পান মুখে রেখে যিকির ও দরূদ (অর্থাৎ মুখে পান রেখে যিকির করা যায়না), এজন্য আমি পান খায়না।
سُبْحٰنَ الله! আল্লাহ পাকের নেককার বান্দাদের ধরনটাই ভিন্ন হয়ে থাকে। আল্লাহ পাক আমাদেরকেও তাওফিক দান করুক, আমরা যেন অহেতুক কার্যাদি থেকে বেঁচে থাকি, মুখকে অহেতুক বলা থেকে বাঁচিয়ে রাখি, পান ইত্যাদির অভ্যাস থাকে তো তা বর্জন করা এবং সব সময় আল্লাহ পাকের যিকিরের মশগুল থাকার অভ্যাস করুন।